টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে মাছ ব্যবসায়ী আলী আকবর বাপ্পীকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ক্লুলেস এই হত্যামামলার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে।
তার তিন ব্যবসায়ী পার্টনারই তাকে খুন করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের তিনদিনের মধ্যে ওই তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন - দিঘুলিয়ার নূরু মিয়ার ছেলে রাজু আহম্মেদ হাবলু (৩০), একই এলাকার ঝন্টু বেপারীর ছেলে খোকন (৩১), মৃত শহীদ বেপারীর ছেলে ওলি (৩০)।
গ্রেপ্তারের পর ওই তিনজন মাছ ব্যবসায়ী বাপ্পীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওলি ও খোকনকে শুক্রবার (২৬ মে) আদালতে পাঠানো হয়। এরআগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাজু আহম্মেদ হাবলুকে আদালতে পাঠানো হয়।
এরআগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেস্কে জান্নাত রিপা ওই তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
গত ২৩ মে গভীর রাতে দিঘুলিয়া এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দিঘুলিয়ার মৃত দেলোয়ার বেপারীর ছেলে বাপ্পীকে।
নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের পর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, জবানবন্দিতে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছেন, মাছ মাছের দোকান ভাগাভাগি নিয়ে বাপ্পীর ব্যবসায়িক পার্টনার গ্রেপ্তার খোকন ও ওলির সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। পরে দোকান ভাগাভাগি নিয়ে রাজু আহম্মেদ হাবলু, খোকন ও ওলি মিলে বাপ্পীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হাবলু নারী সংক্রান্ত বিষয়ে টাকার লোভ দেখিয়ে বাপ্পীকে নিয়ে দিঘুলিয়া ব্রিজের পাশের একটি বটগাছে বসে খোকন ও ওলিকে নিয়ে অপেক্ষা করে। পরে খোকন প্রথমে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। পরে বাপ্পী প্রাণ বাঁচাতে দিঘুলিয়া শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গেলে সেখানে পুনরায় তার উপর হামলা চালায় হাবলু, ওলি ও খোকন। পরে তিনজনে মিলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তা ও সোর্স ব্যবহার করে ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত সেই দা উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এসএএইচ