সিরাজগঞ্জ: যমুনার একদিকে চলছে ভাঙন, আর অদূরে ড্রেজার মেশিনে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ফলে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা করছেন তীরবর্তী মানুষেরা।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেনুটিয়া ও কাশিপুর এলাকায় ইজারা ছাড়াই তিনটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দিনরাত বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে খুকনী ইউনিয়নের আরকান্দি এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন যমুনা পাড়ের মানুষ।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে বেনুটিয়া, আরকান্দি ও কাশিপুর এলাকার একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার গালা ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী বেনুটিয়া ও কাশিপুর গ্রামে তিনটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালু ২০টি বাল্কহেড দিয়ে মানিকগঞ্জ, আরিচা ও চাঁদপুরে সরবরাহ করা হচ্ছে।
এদিকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে আরকান্দি এলাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে যমুনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণগ্রাম, কাশিপুর এবং বেনুটিয়া গ্রামের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। মাত্র এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করার ফলে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েই চলেছে।
বালু উত্তোলন বন্ধে বেনুটিয়া ও কাশিপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে সাইদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি গত ২২ মে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, যমুনা নদীর শাহজাদপুর অংশে সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল ইজারা না দিলেও চিহ্নিত ব্যবসায়ীরা বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে এবং বাল্কহেডে নিয়ে সেগুলো বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে বেনুটিয়া ও কাশিপুর গ্রামবাসী।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন বলেন, বেনুটিয়া ও কাশিপুর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলছে। সেখানে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ এমনটা করে থাকে সে বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোবারক হোসেন বলেন, শাহজাদপুরে বালু উত্তোলনের বিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ এসেছে। এসিল্যান্ডকে বলেছি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
আরএ