মাদারীপুর: মাদারীপুরে দাফনের একমাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কেয়ামনি লিয়া নামে এক গৃহবধূর লাশ তোলা হয়েছে।
যৌতুকের টাকার জন্য ওই গৃহবধূ হত্যার শিকার বলে অভিযোগ নিহতের পরিবার।
আদালতের আদেশে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফুয়াদ হাসান লাশ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সঠিক তদন্ত রিপোর্ট করা হয়নি। তবে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে সঠিক রিপোর্টসহ ন্যায় বিচার দাবি করেন তারা।
জানা গেছে, মাদারীপুর পৌর এলাকার ছোবাহান কবিরাজের মেয়ে কেয়া মনি আক্তার লিয়ার সঙ্গে সদর উপজেলার দুধখালি ইউনিয়নের এওজ গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে মাসুদের প্রায় দু’বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের টাকার জন্য গৃহবধূ মনির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন।
গত ৩০ মার্চ বিকেলে পুনরায় যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেয় নিহতের স্বামী মাসুদ ও পরিবার। তবে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে মাসুদ ও তার পরিবার শুরু করে মারধর শারীরিক নির্যাতন। মারধরের এক পর্যায়ে মারা যান তিনি। পরে নিহতের গলায় ওড়না জড়িয়ে ঘরে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের বাবা ছোবাহান কবিরাজের অভিযোগ, মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন মিলে আমার মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলে। এবং মারার পরে ঘরে ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজাতে চাইছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট পাইনি।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসনে চৌধুরি বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছিল। নিহতের পরিবার তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তারা লাশ তুলে ফের ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করে। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে তুলো ফের তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এসএএইচ