ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ড. মোমেনের সঙ্গে চীনা ভাইস মিনিস্টারের বৈঠক

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩
ড. মোমেনের সঙ্গে চীনা ভাইস মিনিস্টারের বৈঠক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ও চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ওয়েইডং।  

রোববার (২৮ মে) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে তিনি এ প্রশংসা করেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় চীনের উল্লেখযোগ্য অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশংসা করেন। আগামী দিনে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. মোমেন গত ২৭ মে ঢাকায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য চীনের ভাইস মিনিস্টারকে অভিনন্দন জানান। দুই দেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও সভ্যতার সম্পর্ক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ১৯৫০-এর দশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফর এবং তাঁর লেখা 'আমার দেখা নয়া চীন' বইটির কথা উল্লেখ করেন।  

পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রশংসা করে চীনের ভাইস মিনিস্টার উল্লেখ করেন, এই কাঠামোটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি নতুন প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে দুই দেশ বৃহত্তর ও উন্নততর সমন্বয়ের মাধ্যমে অভূতপূর্ব অর্জন করতে পারে।

ড. মোমেন উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে চীনা এফডিআই  উৎসাহিত করেন। ড. মোমেন কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন চীন যে সহায়তা দিয়েছিল তা গভীরভাবে প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করেন।

চীনা ভাইস মিনিস্টার এ বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার সংক্ষিপ্ত বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। চীনে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে  শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশ যাতে সর্বোত্তম সুবিধা পেতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় হওয়া প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন। চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ জনগোষ্ঠীর প্রশংসা করেন, যারা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ১০ম বার্ষিকীর কথা উল্লেখ করে আশা প্রকাশ করেন যে, বাংলাদেশ এই মহাপরিকল্পনা থেকে সর্বাধিক সুফল পাবে।

বৈঠকে তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে সুষ্ঠু ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের চলমান প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা উভয়েই  মত প্রকাশ  করেন, এ সমস্যার একটি জরুরি সমাধান প্রয়োজন, কারণ যদি এর  সমাধান না করা হয় তবে এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি বাস্তব হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩১ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৩,

টি আর/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।