ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশি শিশুকে চীনা প্রেসিডেন্টের চিঠি

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
বাংলাদেশি শিশুকে চীনা প্রেসিডেন্টের চিঠি শি জিনপিং

ঢাকা: চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশি শিশু আলিফা চীনের লেখা চিঠির জবাব দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্প্রতি শিশু আলিফা চীনকে চিঠি লিখে তাকে পড়াশোনা, তার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে বলেন।

এছাড়া চিঠিতে তিনি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতেও উৎসাহিত করেন।

বুধবার (৩১ মে) ঢাকার চীনা দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

চিঠিতে শেয়ার করা শিশু চীনের গল্পটি দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি ভালো উদাহরণ উল্লেখ করে শি জিনপিং বলেন, প্রাচীনকাল থেকেই চীনা ও বাংলাদেশিরা ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং ভালো বন্ধু।  যাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান হাজার বছরেরও বেশি পুরোনো।

চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ৬০০ বছরেরও বেশি আগে মিং রাজবংশের একজন চীনা নাবিক ঝেং হে দু’বার বাংলাদেশে এসেছিলেন। যা দু’জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের বীজ বপন করেছিল। ৬০০ বছরেরও বেশি সময় পরে চীনের নৌবাহিনীর একটি হাসপাতালের জাহাজের (দ্য পিস আর্ক) একজন চীনা নারী সামরিক ডাক্তার শিশু চীনের মাকে বিপজ্জনক সময়ে তাকে জন্ম দিতে সাহায্য করেছিলেন। আর চীনের বাবা তার নাম রেখেছেন চীনের বাংলাদেশি শব্দ অনুসারে ‘চীন’। এটি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের একটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী গল্প।

চীনা প্রেসিডেন্ট জানান, চীন বড় হয়ে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বার্তাবাহক হতে চায় জেনে তিনি খুবই আনন্দিত। আলিফা চীন ভবিষ্যতে চীনের একটি মেডিকেল স্কুলে পড়তে চায় যাতে তার মতো অন্যদের জীবন বাঁচাতে পারে।

শি আশা প্রকাশ করেন, চীন তার যৌবনকালের সর্বোত্তম ব্যবহার করবে এবং তার স্বপ্নকে বাস্তব করতে কঠোর অধ্যয়ন করবে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে শিশু চীন যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন তার গর্ভবতী মা গুরুতর হৃদরোগের কারণে একটি কঠিন প্রসবের শিকার হন। সেই সময় চীনা জাহাজ ‘দ্যা পিস আর্ক’ চট্টগ্রামে অবস্থান করছিল। স্থানীয় হাসপাতালে আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী না থাকায় চীনা জাহাজের ডাক্তাররা তার মায়ের সিজার অপারেশন করেন। চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তার বাবা শিশুটির নাম রাখেন ‘আলিফা চীন’।

চলতি বছরের শুরুতে ‘আলিফা চীন’ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একটি চিঠি লিখেছিল। চিঠিতে সে তার নিজের গল্প বলেছিল। চীনের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছিল। ভবিষ্যতে সে চাইনিজ মেডিকেল স্কুলে পড়ার আশা ব্যক্ত করেছিল যেন অন্যের জীবন বাঁচানো যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
টিআর/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।