নীলফামারী: অপেক্ষার পালা শেষ। চিলাহাটি-ঢাকা রেলপথে আরও একটি নতুন ট্রেন চালু হতে যাচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে সৈয়দপুর-ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট পথে প্রথমবারের মতো একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ট্রেনটির নাম নীলসাগর এক্সপ্রেস। চিলাহাটি এক্সপ্রেসটি হচ্ছে নীলসাগরের ২য় র্যাক (বহর)। নীলসাগর ট্রেনটি পরে গন্তব্য পুনঃনির্ধারণ করে চিলাহাটি থেকে চলাচল শুরু করে। ট্রেনটি বেশ লাভজনক ও এই জনপদে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রাত্রিকালীন ওই ট্রেনটির টিকিট পাওয়া যেন সোনার হরিণের মতো। এ অবস্থায় নীলফামারী জেলার মানুষ তথা এই জনপদের মানুষ দিনের বেলায় একটি নতুন ট্রেন চালুর দাবি করে আসছিলেন।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম বলেন, চিলাহাটি থেকে আরও একটি নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে এটা আমাদের জন্য সুখবর। ট্রেনটি চালুর জন্য আমি বার বার রেলমন্ত্রীর কাছে ধরনা দিয়েছি। যা আর স্বপ্ন নয়।
রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (পশ্চিম) আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, চিলাহাটি থেকে নতুন ট্রেনটি আগামী ৪ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। ১১টি কোচ দিয়ে ট্রেনটি সাজানো হয়েছে। ট্রেনটিতে থাকছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি শয়ন কোচ, একটি স্নিগ্ধা এসি চেয়ার কোচ ও বাকিগুলো শোভন শ্রেণির কোচ।
ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ছেড়ে ডোমার, নীলফামারী, সৈয়দপুর, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, ঈশ্বরদী বাইপাস ও ঢাকা বিমানবন্দর যাত্রা বিরতি করে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। ৪ জুন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ট্রেনটির উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অপরপ্রান্তে চিলাহাটিতে যোগ দেবেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
চিলাহাটি-ঢাকা রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেসের পর নতুন আরও একটি ট্রেন চালুর খবরে এলাকায় সাজ সাজ রব পড়েছে। ঘরে ঘরে বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা।
নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য ইসরাত জাহান পল্লবী বলেন, ২য় ট্রেনটি চালু হলে নীলফামারীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার আরও উন্নতি হবে। উত্তরাঞ্চলের উৎপাদিত শাক-সবজি ঢাকায় দ্রুত পাঠাতে ওই ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুডস ভ্যান সংযোজনের দাবি করেন তিনি।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রধান যন্ত্র প্রকৌশলী (সিএমই) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন, অপেক্ষার পালা শেষ। ওপরের নির্দেশে আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছি। চীন থেকে আনা নতুন কোচ দিয়ে ট্রেনটি সাজানো হয়েছে। ফলে যাত্রীরা আনন্দে আরামদায়কভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনটি সপ্তাহের শনিবার চলাচল বন্ধ থাকবে।
দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান বলেন, ট্রেনের র্যাকটি আমাদের কারখানায় কমিশনিং হয়েছে। লোড ট্রায়ালও করেছি আমরা। গত সপ্তাহে ট্রেনটি রেলের ট্রাফিক বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৩
আরএ