মাদারীপুর: সারা দেশের মতো মাদারীপুরেও তীব্র তাপ প্রবাহে জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। গরমের তীব্রতায় মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম থমকে গেছে।
তীব্র গরমে অস্থির হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন আরও বিপাকে। বিদ্যুত চলে গেলে আরও দূর্বিসহ হয়ে উঠে জীবনযাত্রা।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই গরমের মাত্রা বেশি। তবে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুর থেকে গরমের মাত্রা আরও বেড়েছে। গরমে মনে হয় যেন শরীর পুড়ে যাচ্ছে। অস্থির লাগে।
এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বেড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে রাতে দুই-তিন বার বিদ্যুত চলে যাচ্ছে। সারাদিনেও নিয়ম করে কয়েকবার বিদ্যুত থাকছে না। তবে মধ্য রাতে বিদ্যুত চলে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। নির্ঘুম জেগে থাকতে হয়। শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি হয় সবচেয়ে বেশি।
ইনছান নামের এক ইজিবাইকচালক বলেন, বিকেল থেকে প্রচুর গরম। কোথাও একটু বাতাস নেই। আজ যাত্রীও কম। এ গরমে গাড়ি থামিয়ে বসে থাকাই দায়। বার বার পানি, স্যালাইন খাচ্ছি।
শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি বলেন, গরমে চোখ-মুখ জ্বালা করছে। কেমন যেন শরীর জ্বলে। বিদ্যুত চলে গেলে দূর্ভোগের শেষ থাকে না। দিনে-রাতে বার বার বিদ্যুত চলে যায়। তাছাড়া গত কয়েকদিন ধরেই গভীর রাতে বিদ্যুত চলে যাচ্ছে। তীব্র গরমে বিছানায় থাকা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে।
কামাল খান নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, বাজারে এসে এক দোকানে গিয়ে ফ্যানের নিচে বসে আছি। খুবই অসুস্থ লাগছে গরমে। ফ্যানের বাতাসও গরম!
জেলা পল্লী বিদ্যুত সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে লোডশেডিং বেড়েছে। মাদারীপুরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বিদ্যুতের ঘাটতি আছে। চলতি মাসে লোডশেডিং থাকবে।
মাদারীপুর পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার মো. জনাব আলী বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং বেড়েছে। রাতে এবং দিনের বিভিন্ন সময়ে লোডশেডিং হচ্ছে। এ মাসে লোডশেডিং সহসা কমছে না।
এদিকে মাদারীপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, তীব্র তাপ প্রবাহ বইছে মাদারীপুরেও। সারাদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
মাদারীপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুর রহমান সান্টু বলেন, তাপ প্রবাহের কারণে গরমের তীব্রতা বেশি থাকছে। আজ ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। আগামী ৩-৪ দিনে বৃষ্টির আভাস নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এফআর