ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড়ে মাদক মামলায় নারী ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
পঞ্চগড়ে মাদক মামলায় নারী ইউপি সদস্যসহ গ্রেপ্তার ২

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে মাদক মামলায় ময়না রানী (২৭) নামে এক নারী ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে আটোয়ারী থানা পুলিশ।

শুক্রবার (০২ জুন) বিকেলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) গভীর রাতে উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া পুরান আটোয়ারী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পূর্বপাড়া পুরান আটোয়ারীর গিরাগাঁও গ্রামের দীপক সরকারের স্ত্রী ও ৭, ৮ ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত আসনের নারী ইউপি সদস্য ময়না রানী (২৭) এবং পুরাতন আটোয়ায়ীর মানিক সরকারের ছেলে রিদয় সরকার (২২)। তবে এ মামলার প্রধান আসামি একই এলাকার এরশাহ হোসেনের ছেলে আমির হোসেন (৩০) পলাতক আছেন।

পুলিশ জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (৩১ মে) গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে থানা পুলিশ। এ সময় মাদক কারবারি আমির হোসেনের বাড়িতে যাওয়া হলে স্থানীয়দের সহায়তায় ময়না রানী পুলিশকে অবরুদ্ধ করে আইনি কাজে বাধা দেন। এ সময় আমির কৌশলে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তার বাড়িতে রাখা একটি ব্যাগ থেকে ২০ গ্রাম হেরোইন, ৯০টি বুপিন-রফিন ইনজেকশন ও ১৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে। পরে ইউপি সদস্যসহ উপস্থিত সবাই সটকে পড়লে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সকালে পুলিশ আটোয়ারী থানায় আমির হোসেনকে প্রধান আসামি করে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে নারী ইউপি সদস্য ময়না রানীসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মাদক মামলা দায়ের করে।

একই দিন গভীর রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এ ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা পলিয়ে গেছেন।

এ বিষয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের দুলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি পুরো বিষয়টি পুলিশের ওপর চাপিয়ে দিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি পুলিশের সাজানো। ইউপি সদস্যকে ফাঁসানোর জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার ইউনিয়ন পরিষদে যেসব ইউপি সদস্য আছেন, তারা সবাই পুরো ক্লিন।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা পুলিশের কাজে বাঁধা দিয়ে মাদক কারবারি আমিরকে পালাতে সহায়তা করেন। পরে সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়। এরপর নারী ইউপি সদস্যসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার ও আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের বাজার মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা। এ ঘটনায় অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।