ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দফা দাবি বিড়ি শ্রমিকদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দফা দাবি বিড়ি শ্রমিকদের বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বিড়ি শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা।

রোববার (৪ জুন) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনা সভায় তারা এসব দাবি জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।

তাদের দাবিগুলো হলো- ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে দুই টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা; বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি পুণঃনির্ধারণ করা; সিগারেট ও বিড়ির অগ্রিম আয়করের বৈষম্য দূর করা; বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বিড়ি শিল্প উপমহাদেশের একটি আদি ও পুরাতন শিল্প। এই উপমহাদেশে যখন বেকার মানুষের কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল না, তখন বিড়ি শিল্পই ছিল একমাত্র কর্মসংস্থান। আজও দেশে এমন অঞ্চল রয়েছে, যেখানে বিড়ি শিল্পেই কর্মসংস্থানের একমাত্র অবলম্বন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, বিড়ি শিল্পকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ শিল্পকে নানান অজুহাতে বার বার বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করতে নানাভাবে পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রে এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হলো নিম্নস্তরের সিগারেট। আজ্ঞা ও প্রজ্ঞার সূত্র মতে, বর্তমানে সিগারেট বাজারের ৭৭ শতাংশই নিম্নস্তরের। এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির দখলে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূলা ৪০ টাকা থেকে মাত্র পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকার দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র পঞ্চাশ পয়সা (১২ দশমিক ৫০ শতাংশ), যা খুবই সামান্য। যার ফলে নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা উত্তরোত্তর আরও বৃদ্ধি পাবে। এদেশে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে।

তারা আরও বলেন, নিম্নস্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক প্রায় অপরিবর্তিত রেখে কেবল মূল্যস্তর বাড়ানোর কারণে বর্ধিত মূল্যের প্রায় সব অংশ সিগারেট কোম্পানির পকেটে চলে যাবে। তাই এ বছরের বাজেটে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক আরও বাড়ানো না হলে বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।

বক্তারা দাবি করেন, এ দেশ থেকে সিগারেট বন্ধ করে দিলে, শ্রমিক ও শিল্প রক্ষা পেত। সিগারেটে যে পরিমাণে শুল্ক দেয়, আমাদের দেশিয় শিল্পের সুযোগ করে দিলে আমরা সেই পরিমাণে শুল্ক দিতে পারব। বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের রক্ষার্থে দেশিয় শিল্পের প্রতি নজর দিতে হবে। সিগারেটের নিম্ন স্তরটি বন্ধ করে দিতে হবে।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, লুৎফর রহমান, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
এসসি/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।