ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তেলের জাহাজের ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণে ৮ জন দগ্ধের ঘটনায় তাজুল ইসলাম লিমন (২০) নামে এক যুবক মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে চিকিৎসধীন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনরা জানান, শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার কলাকান্দা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে তাজুল। জাহাজের লস্কর হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
এর আগে গত শনিবার (৩ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে রুপগঞ্জে গাজী ব্রিজ সংলগ্ন দড়িকান্দি ডকইয়ারে ‘ওটি সাংহাই-এইট’ নামে জাহাজে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এসময় আরো দগ্ধ হন- আ. মান্নান রাহাদ (২৩), হুমায়ুন কবির (৫৪), ইমতিয়াজ আহমেদ (৪২), রুবেল (৩৮), সোহেল (৩৮), নাজমুল (৩৩) ও রাকিব (২৪)।
জাহাজটির স্টাফ আ. মান্নান রাহাদ জানান, তারা জাহাজে করে চট্টগ্রাম থেকে নরসিংদীতে তেল নিয়ে যান। সেখানে তেল আনলোড করে তারা জাহাজটি নিয়ে রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের ডকইয়ারে গিয়ে ভেড়ান। শনিবার রাত ১টার দিকে তারা যখন জাহাজটির ডেকের ওপরে ছিলেন তখন ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হয়। তাদের শরীরে মুহূর্তে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তারা নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এরপর সাঁতরে পাড়ে উঠেন। তখন সহকর্মীরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন জানান, জাহাজের আগুনের ঘটনায় মোট ৮ জন রোগীকে বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৩ জনকে ওইদিনই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাজুলসহ ৫ জনকে ভর্তি রাখা হয়। তবে ভর্তি সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
চিকিৎসকরা আরও জানান, হুমায়ুনের শরীরের ৩০ শতাংশ, ইমতিয়াজের ৩০, রুবেলের ৪৫, সোহেলের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
এজেডএস/এসএম