নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক কলহের জেরে আফছানা আক্তার আফছার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী হযরত আলী (৩৫) পলাতক।
বুধবার (৭ জুন) রাতে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের নলবাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত আফছানা আক্তার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ এলাকার আফসার উদ্দিনের মেয়ে। অপরদিকে স্বামী হযরত আলী একই ইউনিয়নের নলবাটা এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, ২০১১ সালে হযরত আলীর সঙ্গে আফছানা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর হযরত আলী মালয়েশিয়ায় তার কর্মস্থলে যোগদান করে। প্রতিবছরই দেশে আসা যাওয়া ছিল হযরত আলীর। গত কয়েক বছর ধরে টাকাপয়সা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গৃহবধূ আফছানার ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হতো আফছানা।
একই সঙ্গে তারা আফছানার পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতো। গত ২ মে মালয়েশিয়া থেকে হযরত আলী নিজ বাড়ি নলবাটায় আসে। এসেই স্ত্রী আফছানাকে কয়েক দফা মারধর করে হযরত আলী। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হযরত আলী ও তার পরিবারের লোকজন গৃহবধূ আফছানাকে বেদম মারপিট শেষে বাড়ির আঙিনার পাশে ফেলে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় ।
পরে খবর পেয়ে আফছানার মা ও ভাই মোহাম্মদ আলী নলবাটা গ্রামে আফছানার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বাচ্চাদের কান্নাকাটি করতে দেখতে পায়। বাড়িতে অন্য কেউ ছিল না। সবাই পালিয়ে গেছে। পরে ঘরের আঙ্গিনার পাশে গলা কাটা অবস্থায় তারা আফছানার মরদেহ পায়। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের মা হাসনাহেনা বেবি বলেন, হযরত পরকীয়ার বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েকে সন্দেহ করতো। এরই জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চৌধুরী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি এ ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছে কি না এটি তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
জেএইচ