ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন: ওয়াসা এমডি তাকসিম 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন: ওয়াসা এমডি তাকসিম  ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান

ঢাকা: ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান বলেছেন, রানিং পানি ব্যবহার করলে অপচয় বেশি হয়। অর্থাৎ কেউ কল ছেড়ে দিয়ে গোসল করলে বা পানি ব্যবহার করলে তাতে পানি অপচয় বেশি হয়ে যায়।

সেক্ষেত্রে কোনো পাত্রে প্রথমে পানি নিয়ে এরপর সেটা ব্যবহার করুন। আর এই অতিরিক্ত গরমের সময় অনেকে পানি ছেড়ে অপেক্ষা করেন, কারণ অনেক সময় পানি গরম আসে। দয়া করে এটি করবেন না।

তিনি বলেন, দয়া করে সবাই পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন। এ ছাড়া গরমের সময় একেকজন দুই তিন বার করে গোসল করেন, পানির বেশি ব্যবহার করেন, এটা আসলে ঠিক না। অনেকে পানি পাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আপনি একটু কম পানি ব্যবহার করলে তা অন্যজনের কাজে লাগতে পারে। আবার পানি জমিয়ে রেখে দুই দিনের পানি তিনদিন ব্যবহার করুন, এতে করে যিনি পানি পাচ্ছেন না, তিনিও কিছুটা পানি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তাকসিম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পানি সরবরাহে যেমন সমস্যা ছিল, আজ থেকে তা অনেকটাই ইমপ্রুভ হচ্ছে। পানি না পেয়ে রাজধানীর অনেক এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। আমাদের পানি প্রোডাকশন আমরা করতে পারছি, কিন্তু তা সাপ্লাই দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু কিছুদিন ধরে আমরা ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। ফলে আমাদের পাম্পগুলো বন্ধ থাকছে। লোডশেডিংয়ের কারণে পানিতে প্রেশার দিয়ে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। পাম্পের ডিপ টিউবওয়েলগুলো বন্ধ থাকছে। ফলে পানি পৌঁছানো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের দিকগুলো আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। তাপমাত্রাজনিত সমস্যা, পানির সমস্যা আমাদের ফেস করতে হচ্ছে। পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে, অনেক এলাকায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না- প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আমাদের হেল্পলাইনে আসছে। পানি সরবরাহ করতে আমাদের ৪৮টি গাড়ি দিয়ে সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক এলাকা আছে যেখানে সরু গলি, ফলে পানির গাড়িগুলো ঢুকতে পারছে না। জেনারেটর দিয়ে পাম্পগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু জেনারেটরে বিদ্যুতের মতো প্রেশার পাওয়া যাচ্ছে না।

চাহিদার তুলনায় বেশি পানি উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ওয়াসার। অন্যান্য সময় বা শীতকালে রাজধানীতে দৈনিক পানির চাহিদা থাকে ২১০ কোটি লিটার। কখন কখনও চাহিদা থাকে ২৩০ থেকে ২৪০ কোটি লিটার। কিন্তু গরমকাল এলে চাহিদার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ কোটি লিটারে। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার প্রতিদিন প্রায় ২৯০ কোটি লিটার পানির উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন গড়ে ২৬০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে ঢাকা ওয়াসা।  

বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার পাঁচটি পানি শোধনাগার রয়েছে। তবে চারটি শোধনাগার থেকে পানি পাচ্ছে সংস্থাটি। চলতি বছরে উপরিতলের পানির উৎপাদন ৭০ শতাংশে উন্নীত করার কথা থাকলেও সেই লক্ষ্য পূরণ এখনও করতে পারেনি ঢাকা ওয়াসা। বর্তমানে উপরিতলের পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। আর বাকি ৬৫ শতাংশ পাওয়া যাচ্ছে ভূগর্ভস্থ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
এমএমআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।