ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লিচুর প্রলোভন দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, পলাতক ‘ভণ্ড পীর’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
লিচুর প্রলোভন দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ, পলাতক ‘ভণ্ড পীর’ ধর্ষক সাইচাপাড়া দরবার শরীফের পীর ইকবাল শাহ

কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে লিচু দেওয়ার কথা বলে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড পীরের বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার হওয়ার পর পরই আস্তানা ছেড়ে পালিয়েছেন ওই ভণ্ড পীর। যে কারণে শনিবার (১০ জুন) পর্যন্ত অভিযুক্ত ভণ্ড পীরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম ইকবাল শাহ। দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত আলীর ছেলে।  

শনিবার বিকালে ধর্ষণ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার।  

তিনি বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঘটনার পর ওই পীর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।  

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ২য় শ্রেণীর ছাত্রীকে লিচু দেওয়ার কথা বলে নিজের আস্তানায় নিয়ে ধর্ষণ করেন ইকবাল।
 
মামলার বাদী শিশুটির মা বলেন, এলাকার একটি চক্র এ বিষয়ে তাকে মামলা না করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা চেয়েছিল এ ঘটনার মীমাংসা করতে। পরে তিনি ৬ জুন রাতে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।  

স্থানীয় লোকজন জানান, ইকবাল শাহ নিজেকে পীর দাবি করে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিজ বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরীফ’ নাম দিয়ে আস্তানা দিয়েছেন।  

তারা অভিযোগ করে বলেন, দরবার শরিফের নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন ভণ্ড পীর ইকবাল। বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার আসর বসাতেন তিনি। মাঝেমধ্যে ওরশ করতেন। সেখানে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কাজ চলতো। তার এসব কাজে সহায়তা করতো স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। তাই তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করত না।

এদিকে পলাতক থাকাও ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত ইকবালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।