ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যশোর শহরে ২১০ সিসি ক্যামেরার সবই অকেজো, সচলের তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
যশোর শহরে ২১০ সিসি ক্যামেরার সবই অকেজো, সচলের তাগিদ

যশোর: যশোর শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো ২১০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা কয়েক বছর ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে, যা দ্রুত সচলের তাগিদ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে যশোর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়।

 সেই সিদ্ধান্তের আলোকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যশোর পৌরসভার মাধ্যমে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৭৬টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা হয়।  

২০১৮ সালে পর্যায়ক্রমে ২১০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এ ক্যামেরাগুলো সচল ছিল, তবে এখন অকেজো হয়ে পড়ে আছে।

রোববার (১১ জুন) যশোর কালেক্টরেট ভবনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান অকেজো সিসি ক্যামেরা নিয়ে কথা তোলেন।  

তিনি দ্রুত সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার তাগিদ দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশৃঙ্খলা করে কেউ যেন সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

যশোর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) সাইফুজ্জামান তুহিন বলেন, যশোর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অচল সিসি ক্যামেরা সচল করার নির্দেশনা পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বেলাল হোসাইন বলেন, আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারীদের তৎপরতা মোকাবিলায় প্রশাসন সজাগ রয়েছে।  

সভায় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদকবিরোধী অভিযান ও জনমত গড়ে তোলা, নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, ইজিবাইক, থ্রি-হুইলারসহ অবৈধ অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল বন্ধ, ইজিবাইকের বর্ধিত ভাড়া, সড়ক দুর্ঘটনা ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ করে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ এবং যানজট নিরসনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বিষয়ে আলোচনা শেষে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এসএম শাহীনের সঞ্চালনায় সভায় মে মাসের রেকর্ডিং এবং অপরাধ চিত্র তুলে ধরে পর্যালোচনা করা হয়। সভায় বলা হয়, জেলার আট উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অভিযানে ১৬৮টি মামলাসহ মোট ৩৫০টি মামলা হয়েছে। এপ্রিল মাসে হয়েছিল ৩০৯টি মামলা। মে খুনের মামলা হয়েছে চারটি, ধর্ষণের মামলা হয়েছে ১০টি। এপ্রিল মাসে খুনের মামলা ছিল পাঁচটি, ধর্ষণের মামলা ছিল একটি।  

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইদ্রিস আলী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির, সমাজসেবা অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক অসিত কুমার সাহা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক মো. আনিছুর রহমান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন, আট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিককে স্মারক ক্রেস্ট দিয়ে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
ইউজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।