ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
রাজধানীতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি! এ আর মোল্লা

ঢাকা: এ আর মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে রাজধানীতে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে আমার বার্তা নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।

এর আগেও রাজধানীর মতিঝিলের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত এ আর মোল্লা আমার বার্তাসহ নামসর্বস্ব কয়েকটি পত্রিকার আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন। এ সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ডও বাংলানিউজের হাতে রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এ আর মোল্লার নেতৃত্বাধীন সংঘবদ্ধ একটি চক্র সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতিনিয়ত রাজউকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে। সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গুটিকয়েক অসাধু কর্মকর্তাকে হাত করে সাধারণ মানুষের দুর্বলতা জেনে তাদের বিরুদ্ধে ভূঁইফোড় নামসর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর ওই সংবাদের সাহায্যে সরকারি দপ্তরের সহায়তায় চিঠি বা নোটিশ পাঠিয়ে চাপে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বাংলানিউজকে বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামীর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হঠাৎ নামসর্বস্ব একটি পত্রিকায় এ আর মোল্লা নামে একজন সংবাদ প্রকাশ করেন। এরপর বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

তিনি বলেন, গত ১ জুন তার দলের অন্য সদস্যকে দিয়ে তিনি সংবাদ প্রকাশ করান। এরপর সরকারি একটি দপ্তরে গিয়ে কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় আমার বোন জামাইয়ের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠান। এই সংবাদ জেনে সঙ্গে সঙ্গে এ আর মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কথিত অফিসে দেখা করি। তাকে বলি, আপনি বার বার এভাবে কেন হয়রানি করছেন? পরে তিনি আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং সারাজীবন আর অপপ্রচার করবেন না বলে ওয়াদা করেন। তখন মানসম্মানের কথা চিন্তা করে তাকে এক লাখ টাকা দেই এবং বাকি ৪ লাখ টাকা ১৫ তারিখে দেব বলে কথা দিয়ে আসি। কিন্তু একদিন পরই তারা আবার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন।  

এ বিষয়ে কেনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিযোগকারী বলেন, আমরা আসলে হয়রানির ভয়ে বিষয়টা মিটমাট করতে চেয়েছিলাম।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত এ আর মোল্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সাড়া মেলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।