ঢাকা: অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ঝড়-বৃষ্টি তেমন না থাকায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমের শুরুতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌর ও বেশকয়েকটি ইউনিয়নে গাছে-গাছে দেখা যায় বাহারি রঙের বিভিন্ন জাতের লিচু।
রোববার (১১ জুন) সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায়, কয়েকটি লিচু বাগান থেকে ব্যবসায়ীরা লিচু পারছেন। বর্তমানে বেশিরভাগ বাগান অনেকটা ফাঁকা। সোনারগাঁ থানার কয়েকটি ইউনিয়নে লিচুর বাগান রয়েছে। তবে সোনারগাঁ পৌর এলাকা ও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ভালো মানের লিচু পাওয়া যায়। পৌরসভা ও ইউনিয়নের লিচুর দাম একটু বেশি হলেও এখানকার লিচু অন্য সব ইউনিয়নের চেয়ে অনেকটাই ভালো বলে দাবি করেছেন ওই ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিকরা।
বৈশাখের শুরু থেকেই বর্তমানে বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে গ্রীষ্মকালীন ফলের। বিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, ইত্যাদি। তবে এদের মধ্যে লিচু অন্যতম।
সোনারগাঁয়ের লিচু বাগান মালিক আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একটি গাছ থেকে দুই থেকে তিন হাজার লিচু পাওয়া যায়। প্রতি হাজার লিচু তিন হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, আমার বাগানে ২৩টি লিচু গাছ রয়েছে। আমি এবার ভালো ফলনও পেয়েছি। লিচুর সাইজ ভালো তাই আমি প্রতি ১০০ পিস লিচু সাড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি।
দেশের সেরা পরিচিত লিচুর জাতের মধ্যে রয়েছে দেশি লিচু, চায়না থ্রি, বোম্বাই, বারি লিচু, মোজাফ্ফরপুরী লিচু, ও বেদানা লিচু।
রাজশাহী, যশোর, দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, ময়মনসিংহ, ঢাকার সোনারগাঁ, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় লিচুর চাষ হলেও দিনাজপুরে উৎপাদিত লিচুকেই দেশের সেরা লিচু বলে দাবি করেন সেখানকার চাষিরা।
সোনারগাঁয়ের লিচু বাগানের পাহারাদার ফরহাদ জানান, লিচু বড় হওয়ার পর থেকেই তিনি নিয়মিত বাগান দেখাশোনা করেন। যাতে কেউ গাছ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য দিন-রাত তিনি বাগান পাহারা দেন। প্রতিটি বাগানে এক একটি ঝুপড়ি তৈরি করে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়। প্রতিদিন পাহারার জন্য ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পাই। এছাড়া লিচু পাকা শুরু হলে ১৫ দিন রাতে গাছের ওপরে রশি দিয়ে টিনের বাক্স বেঁধে রাখি। রাতে কিছুক্ষণ পরপর রশি টেনে শব্দ করি যাতে গাছের ওপরে বাদুর বসতে না পারে। তা না হলে বাদুর এসে লিচু নষ্ট করে ফেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
আরআইএস/