ঢাকা: নাটক, চলচ্চিত্র, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত ওয়েব সিরিজে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
সোমবার (১২ জুন) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আশ্বাস দেন।
মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর উম্মে জান্নাত ও প্রজেক্ট অফিসার মো. আবু রায়হান।
তথ্য সচিব বলেন, নাটক ও চলচ্চিত্রে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শন বন্ধে শিগগিরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আগামীতে রাষ্ট্রীয় আইন লঙ্ঘন রোধে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ (২০১৩ সালে সংশোধিত) ধারা-৫ (ঙ) অনুসারে, বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত বা লভ্য ও প্রচারিত, বিদেশে প্রস্তুতকৃত কোনো সিনেমা, নাটক বা প্রামাণ্যচিত্রে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের দৃশ্য টেলিভিশন, রেডিও, ইন্টারনেট, মঞ্চ অনুষ্ঠান বা অন্য কোনো গণমাধ্যমে প্রচার, প্রদর্শন বা বর্ণনা করবেন না বা করাবেন না মর্মে বলা হয়েছে, যা অবশ্য পালনীয়।
প্রতিনিধিদলের পক্ষে অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, দেশে মাদকাসক্তির সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে (বর্তমানে প্রায় ১ কোটি)। যার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্যের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। এর প্রধান শিকার হচ্ছে আমাদের তরুণ, যুব সমাজ। তরুণরা যাদের অনুসরণ করে তারাই (চলচ্চিত্র অভিনেতারা) ধূমপানের মতো ক্ষতিকর ও বদ অভ্যাস সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন, আইন প্রণীত হয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে। কিন্তু টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়া, ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত নাটক, চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজে অভিনেতা, নির্মাতারা আইন অমান্য করছেন। তরুণদের স্বার্থে নাটক, চলচ্চিত্রে, ওয়েব সিরিজে ধূমপানের দৃশ্য বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডসহ দায়িত্বপ্রাপ্তদের এদিকে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
জিসিজি/আরবি