ময়মনসিংহ: বর ও কনের প্রেমের সম্পর্ক দীর্ঘ পাঁচ বছরের। সম্পর্কের কারণে দুজনের পারিবারিক সম্মতিতে গত ১০ জুন বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়।
অতঃপর দিন শেষে বরের মা-বাবা এসে জানান, ছেলে বিয়েতে রাজি নন। তিনি পালিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১ নম্বর জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর দেউলডাংরা গ্রামে।
এ খবরে দিশেহারা কনে ওই দিন (১০ জুন) সন্ধ্যায় নান্দাইল মডেল থানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর টানা দুদিন পুলিশের মধ্যস্থতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দুই পরিবারের আলোচনায় বিয়ে করতে রাজি হন বর।
সোমবার (১২ জুন) বিকেলে ছোট পরিসরে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে গেছেন বর জুবায়েল আহমেদ (২২)।
বাংলানিউজকে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ।
তিনি জানান, উপজেলার জাহাঙ্গীপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামের নজররু ইসলামের ছেলে জুবায়েল আহমেদের সঙ্গে গত ১০ জুন বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয় পাশের দেউলডাংরা গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে স্মৃতি আক্তারের (২০)। সে লক্ষ্যে সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করে কনেপক্ষ। বধূ সেজে বসেছিলেন স্মৃতি আক্তার। কিন্তু শেষতক বর না আসায় কনের পরিবার সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেন স্মৃতি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
কনের চাচা মো. ফরজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বিয়ের দিন বর না আসায় চারশ লোকের খাবার নষ্ট হয়েছে। তবে এর মধ্যে কিছু খাবার প্রতিবেশীদের ডেকে এনে খাওয়ানো হয়।
তিনি আরও বলেন, আজ পরিবারের লোকজন নিয়ে বর আমাদের বাড়িতে এসেছে। আশা করছি, রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে।
বরের মা রেহানা খাতুন বলেন, সেদিন ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে আজ বিয়ে পড়াতে ছেলেকে নিয়ে কনের বাড়িতে আছি। এখন কোনো সমস্যা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এসআই