ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় দুই আসামি রিমান্ডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
লক্ষ্মীপুরে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় দুই আসামি রিমান্ডে

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে দোকানে ঢুকে মালিককে কুপিয়ে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি সজীব ও মনসুর ওরফে রনিকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি অঞ্চল সদর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন।

এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সিএসআই (কোর্ট উপ-পরিদর্শক) সঙ্গে রিমান্ড মঞ্জুরের শুনানিতে আইনজীবী মো. শামছুদ্দিন, রেজাউল করিম রাজু ও রাকিবুল হাসান তামিম অংশ নেন।  

আইনজীবী রাকিবুল হাসান তামিম বলেন, স্বর্ণ লুট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হানিফ আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। এসময় আমরা শুনানিতে অংশ নিয়ে আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, শহরে এ ধরনের লুট বা ডাকাতির ঘটনা এটাই প্রথম। এতে অধিকতর তথ্য উদঘাটনে আদালত আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, দুই আসামি এর আগে একই আদালতে ঘটনা নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এখন স্বর্ণ লুট মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার এসআই মো. হানিফ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

আসামি সজীব বরগুনা জেলার বামনা থানার খুসনিছড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ও মনসুর নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার বাগবাড়ি এলাকার মৃত আজিজুলের ছেলে।

উল্লেখ্য, বুধবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে ‘আর. কে শিল্পালয়’ নামে একটি জুয়েলারি দোকানে হানা দেয়। ডাকাতদল এসময় দোকানের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করে এবং সব সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। অপুকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু ককটেল উদ্ধার করে।  

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের ইটেরপুল এলাকায় ডাকাতদলের পিকআপভ্যানের চাপায় সফি উল্যা (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হন। এতে আহত হন ইসমাঈল হোসেন নামে আরও এক পথচারী।  

সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাতদলের সদস্য সজীব ও মনছুর ওরফে রনিকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে তিন ভরি চার রতি আট পয়েন্ট স্বর্ণ জব্দ করা হয়। দোকানের মালিকের দাবি, ডাকাতদল আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়েছে।  

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় সদর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি ডাকাতির, আরেকটি বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি সড়ক দুর্ঘটনার। এসব মামলায় আটক দুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। দুই আসামি ছাড়া অন্যদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার এখনো উদ্ধার হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।