ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীর মহাসড়কে ঝরল বাইক আরোহী ও স্কুলছাত্রের প্রাণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
ফেনীর মহাসড়কে ঝরল বাইক আরোহী ও স্কুলছাত্রের প্রাণ

ফেনী: ফেনীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক মোটরসাইকেল আরোহী ও এক স্কুলছাত্রের।  

বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর ছনুয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো. হানিফের ছেলে স্কুল শিক্ষার্থী আরাফাতুর রহমান (১২) ও ফেনী সদর উপজেলার টঙ্গীরপাড় গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম (৪০)।

আরাফাতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। তবে আবদুর রহিমের মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে বাড়ি নিয়ে গেছেন পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার (১৪ জুন) দুপুর ১২টার দিকে আবদুর রহিম বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলযোগে মহাসড়কের লালপুল এলাকায় তার নিজস্ব মোবাইলের দোকানে যাচ্ছিলেন। ছনুয়া টঙ্গীরপাড় এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যায়।

অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে একটি পিকআপ ভ্যান কুমিল্লার দিকে যাচ্ছিল। এসময় পিকআপ ভ্যান চালক মোহাম্মদ হানিফের ছেলে আরাফাতুর রহমান বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বাবার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানে ওঠে।

পথিমধ্যে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া এলাকায় পৌঁছালে পিকআপ ভ্যানটি একটি ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে পাশের গর্তে পড়ে যায়। এতেই ঘটনাস্থলে স্কুলছাত্র আরাফাতের মৃত্যু হয় এবং তার বাবা পিকআপ ভ্যান চালক মোহাম্মদ হানিফ গুরুতর আহত হন।

ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আহত মোহাম্মদ হানিফের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় হলেও তারা চট্টগ্রামের সিটি গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার ছেলে মৃত আরাফাত ওই এলাকার একটি স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল।

ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী শিশুসহ দুজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, পুলিশ পৌঁছানোর আগেই আবদুর রহিমের স্বজনরা তার মরদেহ বাড়ি নিয়ে গেছে। ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এসএইচডি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।