নাটোর: বিশ্ব বাজারে চাহিদার শতকরা ৯০ শতাংশ কাঁচা পাট এবং শতকরা ৬০ শতাংশ পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে সর্বোচ্চ পাট রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে বাংলাদেশ।
দেশের জাতীয় রপ্তানি আয়ে একক কৃষিপণ্য হিসেবে পাট খাতের অবস্থান দ্বিতীয় এবং মোট জিডিপির অবদান ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
দেশের ৪০ লাখ জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাট চাষের ওপর নির্ভরশীল এবং মোট জনশক্তির এক-তৃতীয়াংশ বিভিন্নভাবে পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন কার্যক্রমে জড়িত।
রোববার (১৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পাট খাতের উন্নয়ন বিষয়ক এক উদ্বুদ্ধকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
পাট খাতের উন্নয়ন, পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জোরদারকরণ শীর্ষক এ উদ্বুদ্ধকরণ সভার আয়োজন করে যৌথভাবে জেলা প্রশাসন ও পাট অধিদপ্তর।
জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভুঞাঁর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সামিউল আমিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. ইয়াছিন আলী, পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা।
সভায় বক্তারা বলেন, পাট খাতের উন্নয়নে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ইতোমধ্যে ১৯টি পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। বর্তমানে পাট থেকে কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, ভিসকস, চারকোল, গ্রীন টি, পাটের পলিথিন ইত্যাদি উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের বৈচিত্র্যকরণ এবং সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এ সমৃদ্ধি অর্জন আরও জোড়দার হবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
আরএ