রাজশাহী: রাজশাহীতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগ বিকাশে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ইনডেস্টমেন্ট আফটার কেয়ার অধিশাখার উদ্যোগে ‘নিবন্ধিত বিনিয়োগকারীদের সাফল্য, চ্যালেঞ্জ ও প্রত্যাশা’ বিষয়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় এ আহ্বান জানানো হয়।
রোববার (১৮ জুন) সকাল ১০টায় বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বিডার ইনভেস্টমেন্ট ফ্যাসিলিটেশন ও ইনভেস্টমেন্ট আফটার কেয়ারের উদ্যোগে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রোজিটি নাজনীন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডা’র নির্বাহী সদস্য অভিজিত চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিডা’র রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ড. নবী মারুফ আশরাফ।
কর্মশালায় বিডা’র অগ্রগতি ও অর্জন তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং দ্রুত বিনিয়োগ বিকাশের লক্ষ্যে সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই কাজ করে যাচ্ছে বিডা। এর ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে যে উন্নয়নের ধারা তৈরি হয়েছে, তা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের খুব সহজে অতি দ্রুত আন্তর্জাতিক মানের বিনিয়োগ সেবা, সর্বোচ্চ বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগে উৎসাহিত করাই বিডার মূল কাজ। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সব ধরনে সেবা অনলাইনে প্রদানের লক্ষ্যে ‘বিডা’ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের সাথে একাধিক সভা, সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক ও কর্মশালার মাধ্যমে কার্যকর ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের রূপরেখা প্রস্তুত করছে। ৩৫টি সংস্থা থেকে প্রদত্ত ১৫৪টি সেবাকে ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিডা ২১টি সেবা ওএসএস-এর মাধ্যমে দিচ্ছে এবং শিগগিরই আরও ১৬টি সেবা এ তালিকায় যুক্ত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ বিডাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এমন একটা সময় ছিল, যখন মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশ ও পদ্মা সেতু তৈরির কথা শুনে হাসতো। কিন্ত প্রধানমন্ত্রী আমাদের আলো দেখিয়েছেন এবং তার দৃঢ় নেতৃত্বে তা বাস্তবায়ন করে আমাদের সাহজ যুগিয়েছেন। মধ্য আয় থেকে এখন আমাদের যাত্রা উন্নত বিশ্বের দিকে, ২০৩১ সালে আমরা উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি, এবং সেই স্বপ্নপূরণ করতে হলে বিনিয়োগের পাশাপাশি আমাদের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। তাই আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিডা। তাই রাজশাহীতে বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিরাজমান কাঠামোগত প্রতিকূলতা দূর করা, সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের কর্মদক্ষতা ও সমন্বয় আরও বাড়ানো খুবই জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
এসএস/এমজেএফ