ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি ডিসি-এসপি অফিসের গেটে

খোরশেদ আলম সাগর, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩
সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি ডিসি-এসপি অফিসের গেটে

লালমনিরহাট: সামান্য বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি জমে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের মূল ফটকে।

জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুইজন সরকারি কর্মকর্তার গুরুত্বপূর্ণ এ দুই দফতরের প্রধান ফটকে পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সেবা প্রদানকারী, গ্রহীতা ও সাধারণ পথচারীদের।

জানা গেছে, জেলার মাঝ দিয়ে চলে গেছে বুড়িমারী লালমনিরহাট মহাসড়ক। জেলার ৫টি উপজেলার ওপর দিয়ে লম্বালম্বিভাবে এ মহাসড়কটি রয়েছে। একশ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের পূর্ব কর্নারে রয়েছে জেলা সদর। জেলা সদর থেকে পশ্চিমে মহাসড়ক বেয়ে গেলেই জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের অবস্থান।

লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাশেই রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং অপর প্রান্তে রয়েছে পুলিশ সুপার কার্যালয়, সরকারি লালমনিরহাট কলেজ ও ডিসি-এসপি সিভিল সার্জনের বাসভবন। এর পাশেই রয়েছে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের বাসভবন, বিজিবি অধিনায়কের বাসভবন। মূলত এ মহাসড়কটি লাগোয়া সব ভবনই জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিস ও বাসভবন।

মহাসড়কটির এই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পানি জমে থাকায় মহাসড়কেও খানাখন্দে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। জনগুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলোতে আসা সেবাগ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও সাধারণ পথচারীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন দুর্ভোগ বয়ে চললেও কোনো প্রতিকার নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, ময়লা পানি মাড়িয়ে ডিসি অফিসে যেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় চললেও কোনো প্রতিকার নেই। বড় কর্মকর্তারা তো গাড়িতে চড়ে যান তারা তো জনগণের দুর্ভোগ বোঝেন না। যে অফিস থেকে জেলায় আলো জ্বালানোর কথা তার গেটেই হাঁটু পানি। এ যেন, "বাতির নিচে অন্ধকার"।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যা বাংলানিউজকে বলেন, এ অবস্থা দীর্ঘদিনের। আমি যোগদানের পর এমন অবস্থা দেখে সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রকে কয়েক দফায় বলেছি। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনসহ মহাসড়ক সংস্কারের প্রকল্প নিয়েছেন দফতরটি। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় দুর্ভোগ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজটা হয়ে গেলে আর দুর্ভোগ থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।