ঢাকা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক দূরদর্শিতার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাংলাদেশের একচ্ছত্র সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত হয়েছে। সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি সুবিশাল এক অর্থনৈতিক এলাকা।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (২১ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘হাইড্রোগ্রাফি আন্ডারপিনিং দ্যা ডিজিটাল টুইন অব দ্যা ওশেন’। দিনব্যাপী এই সেমিনার সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সমুদ্রকে নিরাপদ ও কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে দেশের সমুদ্র ব্যবহারকারী সব সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেমিনার আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশের মেরিটাইম সেক্টরের অংশীজন এবং নীতি নির্ধারকদের মধ্যে সমন্বয় আরও সুদৃঢ় হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে দেশকে স্বনির্ভর ও উন্নত করে তুলতে হাইড্রোগ্রাফি, সমুদ্র বিজ্ঞান এবং সুনীল অর্থনীতিকে আরও এগিয়ে নিতে সরকার বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের নৌপরিবহন খাত এবং জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিআইডব্লিউটিএ, চট্টগ্রাম, মোংলা এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত হাইড্রোগ্রাফিক পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভিস ক্রমান্বয়ে একটি বিশ্বমানের পেশাদার সংস্থায় পরিণত হয়েছে। দেশের শতভাগ সমুদ্রসীমার জরিপ কার্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী ইতোমধ্যে শেষ করেছে এবং প্রতিবছর নিরাপদ নেভিগেশনের স্বার্থে তা হালনাগাদ করা হচ্ছে। দেশের সমুদ্র সীমায় হাইড্রোলকি জরিপ পরিচালনা ও এ সংক্রান্ত সেবাদানের মাধ্যমে নিরাপদ নেভিগেশন ও সামুদ্রিক অর্থনীতির বিকাশে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভবিষ্যতে আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সুনীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের শাসনামলে পায়রা সমুদ্র বন্দর, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ও আল্টা ক্রিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, এলএনজি টার্মিনাল, অফশোর রিনিউয়েবল এনার্জি প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু টানেল, সমুদ্র তলদেশের তেল ও গ্যাস সাপ্লাই পাইপলাইন, বে টার্মিনাল ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং কারিগরি বিষয়ে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হাইড্রোগ্রাফিক কার্যক্রমের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ জাহাজ এবং স্মার্ট সরঞ্জাম সংযোজন করে কর্মক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বাংলাদেশ সময়: বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২৩
এমআইএইচ/এমএমজেড