নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে খাদ্যগুদামের ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৬ জনকে বয়স বেশি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ছাঁটাই করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে খাদ্যগুদামের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন এবং ঠিকাদারের আনা নতুন ১৬ শ্রমিককে কাজ করতে বাধা দেন।
খাদ্যগুদামের শমিক সভাপতি জিকরুল হক, সাধারণ সম্পাদক গোলজার হোসেন ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা নিবন্ধনকৃত ৪১ জন লেবার সৈয়দপুর খাদ্যগুদামে ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। আগে ট্রাক থেকে মাল নামানো ও উঠানো বাবদ টন প্রতি কম মজুরি থাকলেও আমরা এই কাজ করেই পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করেছি। গত মে মাসের ২৫ তারিখ থেকে মাল ওঠানো টন প্রতি ১৩০ টাকা ও নামানো টন প্রতি ১২০ টাকা নির্ধারণ হয়। এর পর থেকেই ঠিকাদার খালেকুজ্জামান আমাদের প্রকৃত মজুরি না দিয়ে তা থেকে নিজের জন্য টাকা কাটাতে চাইলে আমরা তাকে বাধা দেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদার আমাদের বকেয়া ৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মজুরি পরিশোধ করে এখন আমাদের মধ্যে বয়স্ক ১৬ জনকে বাদ দিয়েছেন। আর বাইরে থেকে ১৬ জন নতুন লোক নিয়ে আজকে কাজ করতে চাইলে আমরা তাকে বাধা দেই।
তারা আরও জানান, সরকার ৬০ বছরের উর্দ্ধে বয়সের শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে বললেও নীলফামারী জেলার কোনো উপজেলায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়নি। আর বয়স্কজনিত কারণে যদি ছাঁটাই করা হয়, তাহলে আমাদের পরিবারের সদস্য থেকেই তো শ্রমিক নিতে পারেন। কিন্তু, সেটি না করে ডিসি (ফুড) হারুন উর রশিদ, সৈয়দপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদুজ্জামান ও ঠিকাদার খালেকুজ্জামান যোগসাজশে এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
এ সময় তারা অভিযোগ করে জানান, ঠিকাদারের প্রস্তাব অনুযায়ী যদি আমরা নামানো টন প্রতি ১৩০ টাকার জায়গায় ৪০ টাকা ও উঠানোর জন্য টন প্রতি ১২০ টাকার স্থানে যদি ৫৫ টাকা নেই, তাহলে তাদের অসুবিধা নেই। আমরা ঠিকাদারের অযৌক্তিক এ দাবি কেন মানবো? সামনে ঈদ, এর মধ্যে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে তো পথে বসবো। আমরা এ জন্য সরকারের উচ্চতর মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কথা হলে ঠিকাদার খালেকুজ্জামান কোনো বক্তব্য না দিয়ে জানান, তিনি সৈয়দপুর, কিশোরগঞ্জ ও নীলফামারী খাদ্যগুদামের ঠিকাদার হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মাহামুদুজ্জামানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সরকারি লোক, কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এফআর