ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নিকে হত্যা করে পানির ট্যাংকে রাখেন সুমন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগ্নিকে হত্যা করে পানির ট্যাংকে রাখেন সুমন

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পানির ট্যাংকের মধ্যে থেকে তুলি আক্তার (৫) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার সৎ মামা সুমন মিয়া তাকে হত্যা করে সেখানে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে উপজেলার লক্ষীন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ চাকপাড়া গ্রামের মামা সুমনের বাড়ির ট্যাংকি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এর একদিন আগে থেখে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।

নিহত তুলি ওই গ্রামের সোহেলের মেয়ে।

তুলির পরিবার জানান, বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় নানি মরিয়ম বেগম তার বাড়িতে তুলিকে রাখার কথা বলে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরেই তুলির মামা সুমন তার দুলাভাইকে (তুলির বাবাকে) ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে তুলিকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেন। পরদিন শুক্রবার সকালে তুলিকে খুঁজতে তার বাবা-মা তুলির মামার বাড়ি যান। এ সময় তুলির মামা ও পরিবারের অন্যান্য লোকজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্বজন ও এলাকাবাসী সুমন মিয়া ও নানি মরিয়মকে আটক করেন। পরে তারা পুলিশে খবর দিয়ে সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির পানির ট্যাংকি থেকে তুলির মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বিরাজ করছে।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, সুমন তার ভাগ্নিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় সুমন, তার মা মরিয়ম বেগম এবং স্ত্রী সুমাইয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।