পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অপরের জমিতে জোর করে ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এতে বাঁধা দেওয়ায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়ে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শুকানী ঈদগাছ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডি এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে সলেমান আলী (৪৮), আনারুল ইসলাম (৪২), বাবুল হোসেন (৩৫), আহত আনারুলের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন (৩৮), মৃত তহির উদ্দীনের ছেলে আয়ুব আলী (৫২)।
অপর পক্ষের আহতরা হলেন- একই এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী জোসনা বেগম (৪০), শাহজালালের স্ত্রী বৃষ্টি (২৫) ও মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী আকিমন নেছা (৬০)।
খবর পেয়ে ওই রাতেই হাসপাতালে ছুটে গেলে মৃত শামসুল হকের ছেলে সলেমান ও আনারুল বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, একই এলাকার রফিজ উদ্দীন ওরফে খচার ছেলে আজিজ (৬০), নুর ইসলাম (৪৫) ও ইসলামুলের (৪২) নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সলেমান ও আনারুল বাংলানিউজকে অভিযোগ করে জানান, ঈদগাছ এলাকায় আমাদের জমির চা বাগানের পাশে রফিজ উদ্দীনের ছেলেরা গত শুক্রবার (২৩ জুন) দুপুরে জোর করে ইউক্যালিপটাস গাছ রোপণের চেষ্টা করে। বিষয়টি জানার পর তাদের গাছ লাগাতে নিষেধ করা হয়। এর মধ্যে তারা বিষয়টি এড়িয়ে গেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। শনিবার (২৪ জুন) সকালে থানা পুলিশ তদন্ত করে গেলেও রফিজ উদ্দীনের ছেলেরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে আবারো গাছ রোপণ করে জমি দখলের চেষ্টা করে। সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আগে থেকে লাঠি-সোটা নিয়ে ওৎ পেতে থাকা ২০-২১ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহত বাবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরেও তারা গাছ লাগানোর চেষ্টা করে এবং আমরা নিষেধ করতে যাই। কিন্তু নারী-পুরুষসহ তাদের প্রায় ২০-২১ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের ৫ জনকে গুরুতর আহত করে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পরেও তারা আমাদের ওপর হামলা চালালো। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি অভিযুক্তদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আহত আকিমন নেছার ছেলে আবুল কালাম খোকা বাংলানিউজকে বলেন, আমার মা তার দেবরের মারামারি দেখে তাকে বাঁচাতে গিয়ে হামলার শিকার হন। মূলত ৫২ সালের রেকর্ডে জমির মালিক আমার চাচা। তাই আমার চাচাসহ পরিবারের সদস্যরা সেই জমিতে গাছ লাগাতে যায়। এর মধ্যে সংঘর্ষ হলে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৩ জুন গাছ লাগানোর বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরদিন (২৪ জুন) সংঘর্ষে আহতের বিষয়টি শরিফুল নামে একজন কল করে জানিয়েছেন। আমরা তাদের চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা দায়েরের পরামর্শ দিয়েছি। মামলা হলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এনএস