ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সন্ধ্যার পর লোকারণ্য মেরাদিয়া পশুর হাট

তানভীর আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
সন্ধ্যার পর লোকারণ্য মেরাদিয়া পশুর হাট

ঢাকা: ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর মেরাদিয়া কোরবানির পশুর হাট। দিনের বেলা ক্রেতা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় এ হাট।

এখনো পুরোপুরি বেচাকেনা খুব বেশি না হলেও দুয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে বলে মনে করেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।  

রোববার (২৫ জুন) সকালে তেমন ভিড় দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকেলের দিকে লোকে লোকরণ্য হয়ে উঠে ঢাকার এ হাটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে খুঁটিতে বাঁধা রয়েছে গরু। দলে দলে হাটে প্রবেশ করছে শত শত মানুষ। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে, আবার কেউ এসেছেন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে। তবে বিক্রেতারা বলছেন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীই বেশি। তবে হাট সংশ্লিষ্টরা বলছেন সোমবার রাত থেকে বেচাকেনা জমে উঠবে।

মেরাদিয়া হাটে কথা হয় সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার করিম নামে এক গরুর ব্যাপারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে থেকেই ভালো জায়গা পেতে গত শুক্রবার রাতেই হাটে গরু নিয়ে আসি। উল্লাপাড়া থেকে ২৫ হাজার টাকা ভাড়ায় এক ট্রাকে ২টি ভারতীয় বোল্ডারসহ ৬টি গরু হাটে এনেছি। প্রত্যেকটি গরুর ওজন ১৫-১৮ মণ।  

তিনি আরও বলেন, অনেক দর্শনার্থী থাকলেও ক্রেতা কম। এতদিনে মাত্র আড়াই লাখ টাকায় আমার একটি গরু বিক্রি হয়েছে। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে বেচাকেনা বাড়বে।

হাটে তথ্য কেন্দ্রে কর্মরত শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মেরাদিয়া হাটে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, পাবনা ও ফরিদপুর এলাকা থেকে ট্রাকভর্তি গরু আসছে। ক্রেতাদের সুবিধার্থে তথ্য কেন্দ্র ছাড়াও ১৮টি ইজারা কাউন্টার করা হয়েছে পুরো হাট জুড়ে। এতদিন তেমন ক্রেতা না থাকলেও আজ থেকে হাটে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। যা ঈদের রাত পর্যন্ত চলমান থাকবে।

হাটে ১৬টি গরু নিয়ে আসা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এলাকার গরু ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন জানান, ১৬ গরুর মধ্যে তার দুটি গরু সবচেয়ে বড়। ১৮ মাস ধরে তাদের পালছেন তিনি। ঘাস ছাড়াও ছোলা, ভুট্টা, সরিষার খৈল খাওয়ান তিনি। দুটি গরুর ওজন তার প্রায় ৪০ মণ। তবে তিনি বলছেন কেউ দেখলেও তার গরুর দাম জানাচ্ছেন না।  

তিনি আরও জানান, দুটি খাসি এনেছেন তিনি। একটির ওজন ১০৭ কেজি ও আরেকটি ৯৩ কেজি।

এদিকে হাটে আসা অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঝারি সাইজ বা তার থেকে একটু ছোট আকারের গরুর জন্য তারা হাটে এলেও অনেক দাম চাইছেন বিক্রেতারা। লাখ টাকার নিচে কোনো গরুই মিলছে না।

আলমগীর হোসেন নামে বাসাবো এলাকার বাসিন্দাকে গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মাঝারি সাইজের ষাঁড়টি তিনি ১ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছেন। বাজারে গরুর দাম একটু বেশি।  

এদিকে মেরাদিয়ায় বিভিন্ন বাসাবাড়ির প্রবেশ পথের সড়কেই বসেছে গরুর হাট। এতে বিপাকে পড়েনে এলাকাবাসী।

মেরাদিয়া হাটের ইজারাদার নজরুল ইসলাম মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেতা ও পাইকারদের জন্য আমাদের পক্ষো থেকে সবধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
টিএ/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।