ঢাকা: গত ঈদে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রথমবারের মতো প্লাটফর্মে প্রবেশের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেবল টিকিটধারী যাত্রীদেরই ছিল ঢোকার অনুমতি।
কিন্তু ঈদের আগে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার দিনে যাত্রীদের নিয়ম না মানার কারণে ভেঙে পড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবার যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য গত ঈদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) স্টেশন ব্যবস্থাপকের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, গতবার আমাদের যে ত্রুটিগুলো ছিল, সেগুলোকে সংশোধন করে পরিপূর্ণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রত্যেকটা কর্মচারী ও কর্মকর্তা ট্রেনে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সচেষ্ট রয়েছে।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজকে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন। অন্যান্য দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে, এটা সত্য। তবে শিডিউল বিপর্যয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। দু-একটি ট্রেন বিলম্বে ছাড়তে পারে। ঈদের সময় যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ৩০-৪০ মিনিট বিলম্ব বা ১ ঘণ্টা বিলম্ব- এটা তেমন কিছু ব্যাপার না। এই ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতেই দেরি করেছে। তাই ছাড়তেও দেরি হয়েছে। আমার মনে হয়, আজকে যাত্রীর চাপ কমে যাবে।
টিকিটধারী যাত্রীরা প্রবেশ করছেন স্বাচ্ছন্দ্যে:
এদিকে, টিকিটধারী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে স্টেশন এলাকায় প্রবেশের জন্য তিনস্তরের চেকিং ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। একদিন আগে এই চেকিং ব্যবস্থার দুটি অকার্যকর হলেও বর্তমানে তিনটি চেকিং ব্যবস্থায়ই কার্যকর হয়েছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, চেকিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে প্রত্যেকটা চেক পয়েন্টে যোগ দিয়েছেন রোভার স্কাউটের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে আছেন ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার (টিটিই) এবং রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা।
এদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসায় স্ট্যান্ডিং টিকেট কাউন্টারে বেড়েছে মানুষের ভিড়। যে সব যাত্রীর সঙ্গে টিকেট নেই, তাদের পাঠানো হচ্ছে টিকিট কাউন্টারে। সেখান থেকে দেওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডিং টিকেট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এনবি/এনএস