ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাবতলীতে এখনো মিলছে বাসের টিকিট 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
গাবতলীতে এখনো মিলছে বাসের টিকিট 

ঢাকা: ঈদের বাকি আর মাত্র এক দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে ফিরেছেন লাখো ঘরমুখো মানুষ।

সে যাত্রা এখনো অব্যাহত। তবে অন্যান্যবারের মতো এবার ঝামেলা নেই বাড়ির ফেরার গাড়ি নিয়ে। বিশেষ করে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে এখনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন গন্তব্যের।

বুধবার (২৮ জুলাই) গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাউন্টারে এসে এখনো টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।

টিকিটের বিষয়ে কথা হয় সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের কর্মীদের সঙ্গে। তারা জানান, ঈদের আগের দিনও আমরা যাত্রীর অপেক্ষা করছি। টিকিট আছে, কিন্তু যাত্রী নেই।

বাস কাউন্টারগুলো থেকে জানানো হয়, নানা কারণে যাত্রী সংকট গাবতলীতে। কেউ পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করছে। অনেকের হাতে টাকা পয়সা নেই, নানা কারণে যাত্রী সংকট।

দিগন্ত পরিবহনের ব্যবস্থাপক মো. মমিন বলেন, গাবতলী টার্মিনালে যাত্রী নেই, এমন চিত্র কখনো দেখিনি। সিট খালি রেখেই আমরা বাস ছাড়ছি, এতে তেলের দাম উঠছে না। যাত্রী এখন গাবতলী আসে না, পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এছাড়া এবার ঈদের আমেজও কম, মানুষের হাতে পয়সাকড়ি নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাবতলীতে হাতে টিকিট নিয়ে ঘুরছেন কাউন্টার মাস্টাররা। যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছেন। দুই-একজন যাত্রী গাবতলীতে প্রবেশ করলেই ছুটে যাচ্ছেন তারা।

গাবতলী টার্মিনালে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখানে মোটামুটি সহজেই মিলছে বাসের টিকিট। তবে বৃষ্টির জন্যই পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আরিফুল ইসলাম বলেন, সপরিবারে ঈদ করতে যাব ঝিনাইদহে। গ্রামের বাড়িতে কোরবানি দেওয়ার জন্য একটি গরু কেনা হয়েছে। গাবতলীতে এসেই টিকিটও পেয়েছি। পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে পারব, এর থেকে খুশি আর কী হতে পারে!

কাউন্টারে কথা হয় কুষ্টিয়ার খোকসাগামী মো. মুসার সঙ্গে। রাজধানীর বাড্ডার এই বাসিন্দার ইচ্ছে ছিল বাইকে করেই বাড়ি ফেরার। তবে বৃষ্টির জন্য স্ত্রী আর সন্তানকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন বাসে।

মূসা বলেন, প্রতিবার বাইকে করেই যাওয়া আসা করা হয় গ্রামে। এবারও তেমনই ইচ্ছে ছিল। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির জন্য সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তো বাইকে এতটা পথ যাওয়া সম্ভব না। তাই ওদের দুজনকে বাসে করে পাঠাচ্ছি আর আমি বাইকেই যাব। এখানে এসে বাসের টিকিটও পেয়েছি খুব সহজেই।

হানিফ পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের ম্যানেজার জাকির মল্লিক বলেন, পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ার পর থেকে যাত্রীদের ঈদযাত্রায় কোনো কষ্ট নেই। তবে বৃষ্টিতে একটু ঝামেলা সবারই হয়। এ কারণে রাস্তায় কিছু সময় বেশি লাগছে। এ ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।