শরীয়তপুর: যৌতুক দাবিসহ বিভিন্ন কারণে শরীয়তপুরের জাজিরায় শাবল দিয়ে কুপিয়ে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৮ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের খলিফাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম তানিয়া (৩৫)। তিনি ওই উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের কোতোয়ালকান্দি গ্রামের শাহরিয়া জামান কোতোয়ালের মেজ মেয়ে।
আটক অভিযুক্ত স্বামীর নাম জসিম হাওলাদার (৪০)। তিনি বড়কান্দি গ্রামের বাসিন্দা হামেদ হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে বড়কান্দি গ্রামের জসিমের সঙ্গে একই গ্রামের তানিয়ার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তামিম (১৪) ও আমিন (৭) নামে দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তানিয়াকে যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে জসিম ও তার পরিবারের সদস্যরা মারধরসহ নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। একই জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ জুন) ৮ হাজার টাকার জন্য ওই গৃহবধূকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী জসিম। পরে ৮ হাজার টাকা দিয়ে তানিয়াকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তার বাবা। পরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জসিম ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে শাবল দিয়ে কুপিয়ে তানিয়াকে হত্যা করে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে তানিয়ার বাবা শাহরিয়া জামান কোতোয়াল বলেন, আমার মেয়ে তানিয়াকে যৌতুকের জন্য কারণে-অকারণে মারধর করতো জসিম ও তার পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার ৮ হাজার টাকাসহ মেয়েকে পাঠানোর পরেও শাবল দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করল জসিম ও তার পরিবারের লোকজন। আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত স্বামী জসিমকে আটক করে জাজিরা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এসআরএস