লক্ষ্মীপুর: ঈদুল আজহা এলেই কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে নেমে পড়েন এতিমখানা ও মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঈদের দিন সকাল থেকেই দলবদ্ধ হয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে চামড়া সংগ্রহ করেন তারা।
চামড়া বিক্রির টাকা দিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের কয়েকদিনের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। তবে গত কয়েক বছর থেকে চামড়ার দাম কম থাকায় তেমন একটা অর্থের যোগান হচ্ছে না এই উপায়ে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের চামড়া সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। বৃষ্টি মাথায় করে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কুরবানিদাতাদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পিকআপভ্যান ভাড়া করে দূরদূরান্ত থেকেও চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে হাটে নিয়ে ব্যাপারীদের কাছে সেই চামড়া বিক্রি করেন তারা।
লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম, সোহাগ হোসেন, মো. রায়হান বলেন, আগে চামড়া বিক্রি করে গরীবদের মধ্যে টাকা ভাগ করে দিতাম। কিন্তু এখন চামড়ার দাম কম। তাই বিক্রি না করে এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছি।
কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সানাউল্লাহ সানু বলেন, কয়েক বছর ধরে কুরবানির চামড়া নিজেরা বিক্রি করি না। বাড়ির সামনে একটি মাদরাসা আছে, সেখানে দিয়ে দেই। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সেটি বিক্রি করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং খাবারে ব্যয় করেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মজুপুর কারী ওছিমুদ্দিন এবতেদায়ী মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক আবদুল করিম বলেন, ঈদের আগ থেকে মাদরাসার আশপাশের কুরবানিদাতাদের অনুরোধ করেছি গরুর চামড়া এতিমখানায় দেওয়ার জন্য। তাই কুরবানির দিন সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এতিমখানার জন্য চামড়া সংগ্রহ করেছি। দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৫০টি চামড়া পেয়েছি। আশাকরি শতাধিক চামড়া সংগ্রহ হবে। সবগুলো হাটে নিয়ে বিক্রি করে যে টাকা পাব, সেটি দিয়ে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও খাবারে ব্যয় হবে।
তিনি বলেন, মাদরাসা এবং এতিমখানাগুলো সাধারণত মানুষদের দান-অনুদানে চলে। তাই কুরবানির পশুর চামড়া কুরবানিদাতারা এতিমখানা বা মাদরাসায় দান করে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এফআর