ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে ২০০ টাকা কমে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
রাজশাহীতে ২০০ টাকা কমে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০

রাজশাহী: সারা দেশের মতো রাজশাহীর বাজারেও কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে অস্থিরতা চলছে। ঈদের আগে হঠাৎ করেই আকাশচুম্বি হয়ে ওঠে কাঁচা মরিচের দাম।

তবে এক দিনের ব্যবধানে রাজশাহীতে কেজিতে ২০০ টাকা কমেছে। ৬০০ টাকা কেজি থেকে ৪০০ টাকায় নেমে এসেছে কাঁচা মরিচের দাম। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী এখনো ৫০০ টাকা কেজি দাম চাইছেন। এ কারণে অভিযান চালিয়ে এক ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মাস্টারপাড়া, সাহেববাজার, লক্ষ্মীপুর বাজার, নওদাপাড়া ও শালবাগান বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকা কমেছে। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে মহানগরের বাজারে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলার ওপর দিয়ে তীব্র খরা ও তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। যে কারণে শত শত হেক্টর মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তবে মাস খানেক সময়ের মধ্যেই কাঁচা মরিচের উৎপাদন স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এর আগেই কাঁচা মরিচের দাম আরও কমবে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, রাজশাহীর ৮৫০ হেক্টর জমিতে এবার কাঁচা মরিচের চাষাবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে রাজশাহীর বাগমারায়। সেখানে ২৪০ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ হয়েছে।

এরপর কাঁচা মরিচ চাষে জেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গোদাগাড়ী উপজেলা। সেখানকার ১৯৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীর পবা উপজেলায় ৭০ হেক্টর, দুর্গাপুর উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, মোহনপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর, চারঘাট উপজেলায় ২৫ হেক্টর, পুঠিয়া উপজেলায় ১০০ হেক্টর, বাঘা উপজেলায় ৮০ হেক্টর এবং তানোর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া সদর এলাকার ১৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজারে কথা হয় খুচরা সবজি বিক্রেতা স্বাধীন ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, গেল দুই দিন ধরে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও একটু কমেছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় মানুষজন একটু একটু করে কিনছেন। সাধারণত ১০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম পর্যন্ত মরিচ কিনছেন। কেউ কেউ আবার ২৫/৫০ গ্রাম মরিচও কিনছেন।

শহীদুল আলম নামে এক ক্রেতা জানান, কয়েক দিন আগেও বাজারে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছিল। তবে আজকে অনেকটা কমেছে। ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ ৪০ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছেন বলেও জানান এই ক্রেতা।

এদিকে কাঁচা মরিচের দাম বেশি নেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে মাস্টারপাড়া পাইকারি বাজারে সবুজ নামে এক ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযানে নামলে এই বাড়তি দাম নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম তাকে জরিমানা করেন। এ সময় বাকিদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই তারা অভিযান চালান। বাজারে একেক ব্যবসায়ী একেক দাম হাঁকছেন। তাই একজনকে হাতেনাতে ধরে জরিমানা করা হয়েছে। সবাই ৪০০ টাকা কেজি মরিচ বিক্রি করলেও তিনি ৫০০ টাকা কেজি চাইছেন। যে কারণে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৩
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।