নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হলে তারা কর্মজীবনে প্রবেশ করবে।
শনিবার (০৮ জুলাই) দুপুরে নাটোরের সিংড়ায় কিন্ডারগার্টেনে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষাথীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী সিংড়া উপজেলার ৪৩টি কিন্ডারগার্টেনে ১৬৪ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষাথীর মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
চলনবিল কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত ১৪ বছরে দেশে ১৩ হাজার শেখ রাসেল কম্পিউটার ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে কোটি কোটি ছেলে-মেয়ে প্রযুক্তি শিক্ষা হাতে-কলমে শিখতে পারছে।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে আইসিটি বিষয়কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। একইভাবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আগামীতে দেশের ৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি নিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেনকেও এই আওতায় আনা হবে।
পলক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সোনার মানুষ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আমাদের সন্তানদের আদর্শবান সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য তিনজন ব্যক্তিকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পুরো পৃথিবীকে পরিবর্তনের জন্য পিতা, মাতা ও শিক্ষকই যথেষ্ট। তারা যদি সঠিক শিক্ষায় সন্তানদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো পৃথিবী মানবিক পৃথিবী হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন এবং দেশের মানুষকে নীতি, নৈতিকতা, দেশপ্রেম, দায়িত্বশীলতা ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আল ইমরান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামিমা হক রোজিসহ সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২৩
আরএ