নড়াইল: নড়াইলে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঈদের পর থেকে এই সংখ্যা বেড়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, অতিরিক্ত বেড না থাকায় নেই আলাদা কোনো ডেঙ্গু কর্নার। মশারি আর খোলা জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগী। আর এতে ডেঙ্গু ঝুকিতে রয়েছে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অন্য রোগীরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডেঙ্গু পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণের আরও সচেতনতার প্রয়োজন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ১০ দিনে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১৪ জন। যার অধিকাংশই শিশু। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমান নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি ৭ জন ও লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি ১ জনসহ মোট ৮ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছে। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা বলেন, হঠাৎ করে জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু রোগ ধরা পড়ে। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। আলাদা ওয়ার্ড না থাকার ক্ষোভ থাকলেও চিকিৎসা নিয়ে সন্তুষ্ট তারা।
সুমাইয়া বেগম নামে একজন রোগী বাংলানিউজকে বলেন, ৭/৮ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েছি কিন্তু জ্বর ভালো হয়নি। তাই হাসপাতালে এসেছি। গত বোরবারে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি এখন আস্তে আস্তে ভালোর দিকে যাচ্ছে। চিকিৎসা ভালো চলছে।
সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আসাদুজ্জামান মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, ডেঙ্গু আমাদের সদর হাসপাতালে এখনো পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে জনসচেতনার প্রয়োজন। বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোনোভাবেই পানি জমিয়ে রাখা যাবেনা। জনগণ সচেতন হলেই কেবল ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।
নড়াইল সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, যদিও রোগীর সংখ্যা বেড়েছে তবুও নড়াইলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সাধারণ মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু রোগীর মূল লক্ষণগুলো হলো- তীব্র জ্বর, মাথা শরীর ও হাড়ে ব্যথা থাকবে। এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে শিগগিরই হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
এসএম