ঢাকা: ইউরোপের মতো বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিবন্ধিত না। কাজেই এসব মাধ্যম ব্যবহার করে যখন কোনো গুজব ছড়ানো হয়, তখন সেটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ, সামাজিকমাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হয়, সেটি। তাতে করে দেশে হানাহানি তৈরি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে, সামাজিকমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোর রেসপনসিবিলিটি (দায়িত্বশীলতা) আছে। আপনারা জানেন, ইইউ এ বছরে আইন সংশোধন করেছে। তারা বলেছেন, প্রতিটি সামাজিকমাধ্যমকে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে।
তিনি বলেন, যেটি আমরা বহুদিন ধরে বলে এসেছি। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সব সামাজিকমাধ্যমকে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে বলে এসেছি, বাংলাদেশের আইন অনুসারে এখানে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য। কিন্তু এখনো হয়নি। ইউরোপে কিন্তু আইন সংশোধন করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি ফ্রেমওয়ার্ক ল’ তৈরি করেছে। সব সামাজিকমাধ্যমে ইউরোপে নিবন্ধিত হতে হবে। আইন অনুসারে তারা এটি করতে বাধ্য।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে এখনো তারা নিবন্ধিত হয়নি। এটি অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অতীতে দেখেছি, কোনো গুজব যখন ছড়ানো হয়, বিতর্কিত পোস্ট যখন দেওয়া হয়, সেটি যখন আমরা সরাতে বলি, তখন তা সরানো হয়। আবার যখন সরায়, তখন ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। কারণ গুজব তো কয়েক ঘণ্টায় ছড়ায়, যদিও বা তারা সেটি সরায়, সেটা মাত্র ১০ শতাংশ। ৯০ শতাংশ তারা সরায় না। এতে সামাজিকভাবে হানাহানি তৈরি হয়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ, আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
আজ দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি। কেউ শান্তিপূর্ণ, কেউ একদফা। সেটা নিয়ে তারা কী বলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচনের সময়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের কী ভূমিকা রাখবে, সেটি জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের মিডিয়া হচ্ছে প্রাইভেট। বাংলাদেশে বিটিভি একটি চ্যানেল, আর ৩৫টি প্রাইভেট চ্যানেল সম্প্রচারে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
জিসিজি/এএটি