ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বৃষ্টি হলেই সড়কে এক হাঁটু কাদা, দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
বৃষ্টি হলেই সড়কে এক হাঁটু কাদা, দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ

সিরাজগঞ্জ: দশ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম সড়ক এটি। পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থীরা চলে এ সড়ক দিয়ে।

হাট-বাজার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা সদরেও চলাচল করতে হয় এই সড়ক দিয়েই। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক পাকা না হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষকে।  

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের আমডাঙ্গা-সড়াতৈল দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির এমনই বেহাল দশা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা কাদাময় হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তার মাঝখানে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে জমে যায় পানি। পুরো সড়ক জুড়ে হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে পড়ে। ফলে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে যাতায়াতও দুষ্কর। তারপরও বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলতে হয় এ অঞ্চলের মানুষকে।  

সড়াতৈল গ্রামের বাবুল আক্তার, আল মাহমুদ ও আব্দুল আলীমসহ অনেকেই বলেন, আমডাঙ্গা-সড়াতৈল কাঁচা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন আমড়াঙ্গা, অলিপুর, বাদুল্লাপুর, পাঁচিলা, খাসচর, জামালপুরসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ সড়ক দিয়েই বাদুল্লাহপুর বিএনএস টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সড়াতৈল মাদরাসা, সড়াতৈল বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পাঁচিলা বাজারে যাতায়াত করে থাকেন।

উল্লেখিত ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজারেও বেশি শিক্ষার্থীকে এ রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পর্যন্ত কাদা পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় তাদের। এছাড়াও বৃদ্ধ ও নারীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অপরদিকে এসব অঞ্চলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।  

সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার বলেন, স্থানীয় লোকজন এ রাস্তাটির নাম দিয়েছে ‘দুর্ভোগের সড়ক’। রাস্তাটি পাকা করার জন্য অনেকবার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালেও কোনো কাজে আসেনি। শেষ হয়নি এলাকাবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ।  

বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নু বলেন, ওই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে এ বছর এটি পাকাকরণের একটি প্রকল্প তৈরি করে উল্লাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।  

উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া প্রকল্প যাচাই বাছাই করে অগ্রাধিকার তালিকায় অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত এই রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।