সিলেট: পুলিশের চেকপোস্ট দেখে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক। তাদের থামার সংকেত দেন কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল ফয়ছল আহমদ।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কে দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক পয়েন্টে পীর হবিবুর রহমান চত্বরে এ ঘটে।
নিহত ফয়ছল আহমদ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানায় প্রেষনে কর্মরত ছিলেন। তিনি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মামুরখালি বারকাপ্তা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ফয়ছল আহমদ পারাইরক পীর হবিবুর রহমান চত্বরে ডিউটিতে নিয়োজিত ছিল। ঘটনার সময় সিলেট-গোলাপগঞ্জ সড়কের পারাইরচক বাইপাস হয়ে একটি নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল নিয়ে দুই যুবক বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসছিলেন। দুই আরোহী হলেন মোটরসাইকেল চালক গোলাপগঞ্জ উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মাজবাহ উদ্দিনের ছেলে মো. সামি (১৯), এবং তার সঙ্গীয় যুবক লিমন (১৮) একই উপজেলার রামপা গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে।
তারা বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসলে কনস্টেবল ফয়ছল আহমদ থামার সংকেত দেন। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহীরা সংকেত না মেনে তার গায়ের ওপর মোটরসাইকেল উঠিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক ফয়ছল আহমদের মাথায় ও পায়ে জখমপ্রাপ্ত হন। গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়। তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় কনস্টেবল রাশেদ খাঁন রাজু সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে দ্রুত তাকে নর্থ ইষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক মো. সামি ও আরোহী মাহবুবুর রহমান লিমনকে আটক করা হয়েছে। আটক সামি সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত, আরোহী মাহবুবুর রহমান লিমন (১৮) মুখে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এনইউ/জেএইচ