সিলেট: সিলেটে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রী শিমলা রানী দেবনাথ (২২)কে খুন করে পালালেন বিশ্বজিৎ দেবনাথ নামে বখাটে যুবক।
শুক্রবার (২১ জুলাই) ওই এলাকার বিয়ানী হাউজ নামক ভাড়া বাসা থেকে শিমলা রানীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিমলা রানী দেবনাথ মেজর টিলা ইসলামপুরের নুরপুর নাথপাড়ার জিতেন্দ্র দেবনাথের মেয়ে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নৃপেন্দ্র দেবনাথের ছেলে।
নিহত সিমলার বাবা জিতেন্দ্র দেবনাথ জানান, প্রায় ৭ মাস আগে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নৃপেন দেবনাথের ছেলে বিশ্বজিতের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন। তার ভাই বোনরা সরকারি চাকরি করলেও বিয়ের পরও বিশ্বজিৎ বেকার ঘুরে বেড়ানো ও আড্ডা দিয়ে সময় কাটানো ছিল তার নেশা। অথচ বিয়ের পর নগরের নয়াসড়কে একটি কসমেটিক্সের দোকানে চাকরি করে সংসার চালানোর পাশাপাশি সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স পড়ছিলেন শিমলা। বেকার স্বামীকে বুঝিয়েও কথা শুনতে পারেননি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। কিছুদিন আগে সিমলা স্বামীর বাসা ছেড়ে চলে আসে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে বখাটে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে কর্মস্থলে গিয়ে শিমলাকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসেন বিশ্বজিৎ। এ কারণে রাতেই শাহপরাণ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আর এই সাধারণ ডায়েরি করাই কাল হলো তার।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান(র.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার দুপুরে বাসায় লোকজনের চলাচল কম থাকায় ঘরে একা ছিলেন শিমলা। এ সময় বিশ্বজিৎ দেবনাথ বাসায় গিয়ে স্ত্রীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। ঘটনাটি প্রতিবেশীরা দেখলেও কেউ ঝামেলায় না জড়াতে পুলিশকে খবর দেননি। বিকেলে তার বাবা বাসায় ফিরে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
ওসি আবুল খায়ের আরও বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। বিশ্বজিৎ পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এনইউ/এসএম