ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বোয়ালমারীতে যাতায়াতের অনুপযোগী ৫০ বছরের একটি কাঁচা সড়ক, সলিং দাবি

হারুন-অর-রশীদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
বোয়ালমারীতে যাতায়াতের অনুপযোগী ৫০ বছরের একটি কাঁচা সড়ক, সলিং দাবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ৫০ বছরের একটি গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। বৃষ্টি নামলে কাদার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েন দুই ইউনিয়নের পাঁচ-সাতটি গ্রাম।

দুর্ভোগ কমাতে গ্রামীণ এ সড়কে ইটের সলিং দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অধিবাসীরা।

উপজেলার ঘোষপুর ও সাতৈর দুই ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াত এ রাস্তা ধরে। গুরুত্বপূর্ণ এ গ্রামীণ সড়ক ঘোষপুর ইউনিয়নের অংশ সাতৈর বাজার গোরস্থানের মাঝকান্দি ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে বাকু মেম্বারের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে চৌরাস্তায় শেষ হয়। সেখান থেকে বোতনের মাঠ হয়ে পাটিতাপাড়া ঈদগাঁ পর্যন্ত সাতৈর ইউনিয়নের অংশ।  

প্রেমতারা, কেরশাইল, আরাজী, পাইকহাটি, পাটিতাপাড়া, সাতৈর, গ্রামের লোকজন যাতায়াত করেন এ সড়কটি দিয়ে। বর্ষাকালে মাটির এ রাস্তায় জুতা পায়ে, কাপড় পরিধান করে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষার সময়ে এ এলাকার লোকজন বা গর্ভবতী মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না।  

পাটিতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সত্তার মাতুব্বর বলেন, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাসে আমরা এ রাস্তা দিয়ে মসজিদে যেতে পারিনা। এছাড়া স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমাদের দাবি এ গ্রামীণ কাঁচা সড়কটিতে ইটের সলিং করে দিলে অন্ততপক্ষে হাঁটা-চলা করার উপযোগী হতো।

ঘোষপুর ইউপি সদস্য মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছিল গ্রাম হবে শহর। তবে অনেক এলাকার চিত্র পরিবর্তন হয়ে শহরে পরিণত হয়েছে। অথচ ঘোষপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ও সাতৈর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৫০ বছরের গ্রামীণ এই সড়কে এখনও ইটের ছোঁয়া লাগেনি। বর্ষা মৌসুমে কাদার কারণে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে লোকজন।  

সাতৈর ইউপি সদস্য সৈয়দ শফিকুল আজম মাকুল বলেন, বোতনের মাঠের অধিকাংশের ফসল এ রাস্তা দিয়ে আনা নেওয়া করা হয়। বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদা হলে কৃষকরা ফসল বিক্রি করতে হাট-বাজারে নিতে পারে না। রাস্তাটি দ্রুত ইটের সলিং করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টের কাছে আহ্বান জানাই।

ঘোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন নবাব মিঞা বলেন, আমি গোরস্থান থেকে ইউনুস শেখের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৯ মিটার কাঁচা গ্রামীণ সড়কে ইটের সলিংয়ের কাজ করেছি। বাকি আছে বাকু মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদ পর্যন্ত। যেহেতু সেখান দিয়ে একাধিক গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে। আমরা আগামীতে কোনো বরাদ্দ পেলে বাকি অংশে ইটের সলিং করে দেব।

সাতৈর ইউপি চেয়ারম্যান রাফিউল আলম বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখব। সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হলে বা জনদুর্ভোগের কারণ হলে ইটের সলিং করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
এসএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।