ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
‘স্বচ্ছতা নিশ্চিতে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই’

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেছেন, প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য জবাবদিহিতার কোনো বিকল্প নেই। তাই এ বিষয়টি সবার আগে সুনিশ্চিত করতে হবে।

তবেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। আর এজন্য সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।  

রোববার (২৩ জুলাই) পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সবার উদ্দেশে এমন মন্তব্য করেন।

শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপন করা হয় আজ।  
রোববার (২৩ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০২৩ উপলক্ষে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বর প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এতে পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করতে গিয়ে যেন জনসেবা ব্যাহত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বছরের বিভিন্ন দিন বিভিন্ন দিবস থাকে, আমরা তা পালনও করে থাকি, তবে যে কোনো দিবস পালন করার দিন আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত আমরা যেন ওই দিন সর্বোচ্চ জনসেবা দিতে নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। কোনো বিশেষ দিন নয়, প্রতিটি দিনই যেন বিশেষ হয় আর বিশেষ সেবা যেন জনগণ পায়।

বর্তমানে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব করতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জনসেবা মহান আল্লাহর দেওয়া একটি বিশেষ নেয়ামত। তিনি সকলকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন হটলাইন নম্বরের কার্যকারিতা ও ব্যবহারের দিক, বর্তমান সরকারের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম অনলাইন করার সুবিধাসহ ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন, জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন, এনআইডি ইত্যাদি সম্পর্কে তুলে ধরে সরকারের নানামুখী কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতি হ্রাস হয়েছে বলে জানান।

এ সময় তিনি প্রতিটি দপ্তর থেকে বছরে অন্তত একটি কাজ ঠিক করার আহ্বান জানান। যাতে আজ থেকে মানুষ ওই সেবাটি পেতে কোনো ধরনের হয়রানি না পোহায়।

অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ও অক্ষমতাজনিত কারণে অবসরগ্রহণকারী আটজন এবং ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ জনকে চেক প্রদান করা হয়।  

অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২৩
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।