ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডা. নাফিউল ইসলাম নামে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

পেটে ব্যথা নিয়ে ফকিরহাট উপজেলার লাইফ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে গেলে ওই কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা বলে রিপোর্ট দেন এবং ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেন দায়িত্বরত ওই চিকিৎসক এমন দাবি করেছেন কিশোরীর পরিবার।

 

এ ঘটনায় সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে ওই কিশোরীর পরিবার ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনায় ডা. নাফিউল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়েছে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পেটে ব্যথা নিয়ে গত ১৯ জুলাই ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার জন্য বলেন। এসময় ওই কিশোরীর মা তাকে নিয়ে উপজেলা মোড়ে লাইফ কেয়ার ক্লিনিক অ্যাণ্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে দায়িত্বে থাকা ডা. নাফিউল ইসলাম কিশোরীকে একা রেখে তার মাকে বের করে দেন। এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময়ে ডা. নাফিউল ওই কিশোরীকে জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। এসময় তিনি বলেন তাকে খুশি করলে গর্ভের সমস্যার সমাধান করে দেবেন। এসময় ওই চিকিৎসক কিশোরীর হাত ধরে জোর করে চুমু দেয়। ভয় পেয়ে কিশোরীটি আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে আসে। বিষয়টি কিশোরী তার অভিভাবকদের জানালে তারা পুনরায় ডিজিটাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। সেখানে ওই কিশোরীর এপেন্ডিক্সের সমস্যা ধরা পড়ে। এছাড়া কিশোরীর দুটি রিপোর্ট ও পেটে ব্যথার উপসর্গ দেখে চিকিৎসক তার এপেন্ডিক্স হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

ফকিরহাটের লাইফ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক লিটন কুণ্ডু বলেন, ঘটনার পর ডা. নাফিউল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. নাফিউল ইসলাম বলেন, কিশোরীর আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট ভুল করেছি। কিন্তু তার সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করিনি। তারা ভুল বুঝেছে।

ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম মফিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।