নীলফামারী: চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুজ্জামান কামরুকে হবিগঞ্জের বিবিয়ানা পাওয়ার স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) হবিগঞ্জ পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে নীলফামারীর সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার কামরুজ্জামানের নামে নীলফামারী আদালতে পাঁচটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে রায় হয়েছে তিনটির।
সৈয়দপুর থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানান, কামরুজ্জামান ২০১৭ সালে পিডিবির সৈয়দপুর পাওয়ার স্টেশনের মেকানিক্যাল বিভাগে হেলপার পদে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি স্থানীয় কিছু ব্যক্তিকে পিডিবিতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নেন। চাকরি না হলে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি ছিল তার। কিন্তু যাদের কাছে টাকা নিয়েছেন, সেসব পরিবারের কারও চাকরি হয়নি। পরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে কামরুজ্জামানের নামে নীলফামারী আদালতে পাঁচটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে তিনটির রায় হয়েছে। রায়ে তার ৬ মাসের জেল ও আদালতের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।
এদিকে সৈয়দপুর পাওয়ার স্টেশন থেকে হবিগঞ্জের বিবিয়ানায় বদলি হয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগীদের একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক এস এন এম আজম নুরে জান্নাতের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, পিডিবির ওই কর্মচারী আমার মেয়েকে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হাই স্কুলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দেড় লাখ টাকা নেন।
তিনি আরও জানান, একইভাবে একাধিক ব্যক্তির কাছে তিনি টাকা নিয়েছেন। কিন্তু কারোর চাকরি হয়নি। তিনি টাকাও ফেরত দেননি। টাকা চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দিয়েছেন। এ কারণে আমরা তার নামে মামলা করতে বাধ্য হই।
বিবিয়ানা থেকে পিডিবি কর্মচারী কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তারে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবিব। তিনি জানান, বিবিয়ানা পাওয়ার স্টেশনে কর্মরত অবস্থায় আমরা কামরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত পিডিবি কর্মচারী কামরুজ্জামানকে বুধবার বিকেলে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
এফআর