ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোনো দেশ স্থিতিশীল না হলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। একইসঙ্গে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাও প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ‘দেশ এগিয়ে চলছে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন ড. মোমেন ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আমাদের মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের ইতিহাস রয়েছে। আমাদের অনেক উন্নয়ন ও অগ্রগতি আছে। এগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। তিনি দেশের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র নায়কের তার মতো এতো ত্যাগ নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার পেছনে অবদান বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার। তবে ২১ বছর বাংলাদেশ উল্টোভাবে চলেছে।
তিনি বলেন, একজন মানুষ যদি সঠিক সময় সঠিক কাজটি করতে পারে, তা যে কত বড় সাফল্য বয়ে আনতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রমাণ। ১৭ কোটি মানুষের জীবনে একটি বিশাল পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন তিনি এবং বিশাল সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে দিয়েছে এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।
দীপু মনি বলেন, যোগাযোগ খাতে যা ঘটেছে, তাকে বিপ্লব বললেও কম বলা হবে। এক পদ্মাসেতুর কারণে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ তাদের জীবনটাকে যেভাবে দেখতেন, সেই দেখাটাও বদলে গেছে। একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দিনে ১০০ সেতু, ১০০ রাস্তা উদ্বোধন করেছেন। অপরদিকে একদিনে সারা দেশে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলাও হয়েছে। কিন্তু আমরা বোমা চাই না, আমরা সড়ক চাই, সেতু চাই। উন্নয়নের এই রাজনীতিই আমাদের বেছে নিতে হবে, যার মধ্যে দিয়ে আমাদের অগ্রগতি হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, এ মাটি জঙ্গিবাদের না।
বইয়ের বিষয়বস্তু তুলে ধরে দীপুমনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথাই এই বইতে বলা হয়েছে। মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে দাঁড়াবো, সেই কথাই আছে। আমরা কোথায় যেতে চাই, সেই নির্দেশনাও আছে এই বইতে।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন নিয়ে সারা পৃথিবীতেই এখন আগ্রহ। সারা বিশ্বের লোকই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখন উন্নয়নের রোল মডেল মনে করেন। তবে এই বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করতে পারলে, সারা পৃথিবীর লোকদের সামনে আমরা আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরতে পারবো। তিনি আরো বলেন, আমাদেরই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিদেশ থেকে ভাড়াটে বা দূত আনলে দেশ এগিয়ে যাবে না।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এতে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রতিদিনের বাংলাদেশের সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি ও কৃষিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২৩
টিআর/এসআইএস