ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্লটের চুক্তিতে সই না করা ট্যানারির কার্যক্রম স্থগিতের সুপারিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
প্লটের চুক্তিতে সই না করা ট্যানারির কার্যক্রম স্থগিতের সুপারিশ

ঢাকা: চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দ করা প্লটের যেসব বরাদ্দ প্রাপকরা এখনও লিজ অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি সই করেনি সেসব ট্যানারির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

রোববার (৩০ জুলাই) জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে জলবায়ু বিষয়ে আইপিসিসির প্রতিবেদন ও সুপারিশের আলোকে বাংলাদেশের করণীয়; সাভারে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কমপ্লায়েন্স অর্জনের জন্য যেসব প্রতিষ্ঠানকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এবং কমপ্লায়েন্স অর্জনে ব্যর্থতার জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে উভয়ের বাস্তবায়ন অগ্রগতি; পরিবেশ অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রাম; ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা এবং আঁড়িয়াল বিলে রিয়েল অ্যাস্টেট কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসন প্রকল্পের বিস্তার রোধে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে পরিবেশ অধিদপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিসিক চামড়া শিল্পনগরীতে বরাদ্দকৃত প্লটের যেসব বরাদ্দ প্রাপকরা এখনও লিজ অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি সই করেনি সেসব ট্যানারির কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা এবং হাইকোর্টের চারটি নির্দেশনা শতভাগ প্রতিপালনের নির্দেশ প্রদানসহ তাদের তালিকা তৈরি করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে।

বৈঠকে জলবায়ুবিষয়ক আইপিসিসির প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো বুয়েটের প্রতিনিধির কাছ থেকে সংগ্রহ করে তার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পাঠানোর জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

বৈঠকে সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যে শতভাগ ব্লক ইটের ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।

এছাড়া আঁড়িয়াল বিলে রিয়েল অ্যাস্টেট কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে অবৈধভাবে গড়ে উঠা আবাসন প্রকল্পের বিস্তার রোধে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে জমির শ্রেণি পরিবর্তন এবং ছাড়পত্র প্রদান না করার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের দুই চেয়ারম্যান, প্রধান বন সংরক্ষক, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিসিকের চেয়ারম্যান, বুয়েটের প্রতিনিধিরা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২৩
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।