ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিয়ে পড়ানোর কথা বলে কাজীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
বিয়ে পড়ানোর কথা বলে কাজীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৫

দিনাজপুর: দিনাজপুরে বিয়ে পড়ানোর কথা বলে বিবাহ রেজিস্ট্রারকে (কাজী) অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- দিনাজপুর শহরের মিশন রোড এলাকার এরশাদ আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব (১৬) একই এলাকার আব্দুর রশিদ খানের ছেলে ইউসুফ আলী (২৬), মোহাম্মদ আলীর ছেলে জোবায়ের জোয়েল, আব্দুল কাদেরের ছেলে তাইজুল ইসলাম ওরফে আজিজুল (২৬) ও মৃত আব্দুল বাহেদের ছেলে আব্দুল কাদের (৬০)।

আর অপহৃত বিবাহ রেজিস্ট্রার মোজাফ্ফর হোসেন জেলার বিরল উপজেলার কামদেবপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার ৮ নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি তানভিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে (৩০ জুলাই) মোটরসাইকেলে দাপ্তরিক কাজে দিনাজপুর কাচারিতে আসেন মোজাফ্ফর হোসেন। এ সময় তার মোবাইলে অজ্ঞাত একটি নাম্বার থেকে কল আসে রিসিভ করে বলে বোনের বিয়ে পড়াতে হবে। পরে আসামিরা কৌশলে কাচারী থেকে তাকে অপহরণ করে মিশন রোড এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর তার কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যায় এবং দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একই সঙ্গে তিনটি ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয় আসামিরা।  

ওসি আরও জানান, টাকার জন্য মোজাফ্ফর হোসেন তার ছোট ছেলের মোবাইলে কল করলে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেয়। পরে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় আসামিরা। এ ঘটনায় মোজাফ্ফরের ছেলে গোলাপ হোসেন (২৫) কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। আরও কয়েকজন অজ্ঞাত আসামি রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।