লক্ষ্মীপুর: অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। ফলে উপকূলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরের পর থেকে উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানি আসতে শুরু করে। এরপর এলাকাগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। বিকেল ৫টা পর পানি নামতে শুরু করে।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জোয়ারের পানিতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন, কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবের হাট, চর ফলকন, পাটওয়ারীর হাট, রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চর আবদুল্যা এবং রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের নদী সংলগ্ন এলাকাগুলো পানির নিচে ডুবে গেছে।
কমলনগরের চর মার্টিন এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহমান বলেন, জোয়ারের পানিতে তাদের এলাকার বসতবাড়ি এবং রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। তোরাবগঞ্জ-মতিরহাট সড়কের পশ্চিম অংশে হাঁটু পানি উঠে গেছে। জোয়ারের পানিতে তাদের এলাকার দুটি মাছের খামার তলিয়ে যায়৷ এতে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, জোয়ারের পানি কারো কারো ঘরে ঢুকে পড়ে। এতে ঘরের বাসিন্দারা বিপাকে পড়েন। গবাদি পশু নিয়েও অনেকে হিমশিম খেতে হয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম ও জহির বলেন, মেঘনা নদী থেকে আমাদের এলাকা প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। প্রতি বছরের এ সময়টাতে পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীতে পানি বেড়ে যায়। এতে আশপাশের এলাকাগুলো তলিয়ে যায়। নদীর তীররক্ষা বাঁধ না থাকায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
রামগতির বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, সোমবার থেকে তাদের এলাকায় পানি ওঠা শুরু করেছে। মঙ্গলবারও পানি উঠেছে। তাদের দ্বীপটি পুরোপুরি অরক্ষিত। ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্য দ্বীপটি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে ক্ষয়ক্ষতিও হচ্ছে।
নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা কতটুকু বেড়েছে এ তথ্য জানতে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদকে ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২৩
আরএ