সাভার (ঢাকা): হাত-পা ভেঙে, রগ কেটে বস্তাবন্দি করে আশুলিয়া থেকে ধামরাই পুকুরে ফেলে পোশাক শ্রমিক রবিউলকে হত্যার করা হয়। সেই হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সড়কে দাঁড়িয়েছে তার তিন বছরের শিশু ইয়ামিন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে মানববন্ধন করেন নিহতের ছেলে, স্বজন ও শ্রমিকরা।
মানববন্ধনে রবিউলের মা, তার স্ত্রী, সন্তানসহ আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন রবিউলের পরিবার ও এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা জানান, এই হত্যাকারীরা যদি আইনের কোনো ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়, তাহলে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে তারা। কারণ তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রমিক নেতা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এমন একটা সেক্টরের শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করি যে সেক্টরের শ্রমিকরা নির্যাতন, হয়রানি এমনকি হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও তার বিচার পাওয়ার অধিকার থাকে না। পোশাক শ্রমিক রবিউল ইসলামের হত্যাকারী ১ নম্বর আসামি বহুদিন ধরে শ্রমিক হয়রানিসহ নির্যাতন করে আসছে। গত জুলাই মাসেও এই ১ নম্বর আসামি ঠান্ডু নামের একজন শ্রমিকনেতাকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন এবং গুমরে চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টা জানাজানি হওয়ার কারণে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
তিনি আরও বলেন, ইউনিক থেকে বুড়ির বাজার এলাকায় যে সব কারখানা রয়েছে তাদের শ্রমিকরা দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলতে গেলেই নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়। কার ইশারায় তারা এমন গুম-খুনের মতো জঘন্যতম অপরাধ করে? এর শেষ কোথায়? আমরা রবিউল হত্যার সঠিক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
উল্লেখ্য, পূর্ব দ্বন্দ্বের জেরে গত ৩১ জুলাই দক্ষিণ বাইপাল এলাকার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হাত-পা ভেঙে ফেলার পর পোশাক শ্রমিক রবিউল ইসলামকে (৩০) জীবিত অবস্থাতেই বস্তায় বন্দি করে ধামরাইয়ের ভারারিয়া এলাকার পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান রবিউল। এ ঘটনায় রাতেই ধামরাই থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহত রবিউলের বোন ফারজানা আক্তার ঝিলিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৩
এসএফ/এসএম