ফেনী: কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টির পানি বাড়া ও উজানের অতি বৃষ্টির ফলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত মুহুরী, কহুয়া নদীর পানি বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বরাত দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানিয়েছেন রোববার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বাড়ার ফলে জেলার সীমান্তবর্তী এ দুই উপজেলায় নদীর ভাঙন দেখা দিলে মানুষের দুর্ভোগ লাগামহীন হয় প্রতি বছর। এবারও তেমনটা শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ বছর অনেকটা দেরীতে বর্ষার আগমন হলেও চলমান মৌসুমি বায়ু সমানতালে সক্রিয় থাকায় বর্ষার ঘনঘটা এখনও জোরালো রয়েছে বলে জানায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, আগামী আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত শ্রাবণের বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। যদি এ অবিরাম বৃষ্টি চলতে থাকে তাহলে মুহুরী নদী আরও ফুলে-ফুঁসে উঠতে পারে।
বর্ষায় কৃষকের আমন ফসল উৎপাদনে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। গত সপ্তাহেও বৃষ্টিহীনতায় এ অঞ্চলের কৃষকরা আমন ফসল বুনতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। অবিরাম বর্ষায় বর্তমানে কৃষক ও মৎস্য চাষী ফসল ও মাছের ঘের প্লাবিত হবে এ দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে উপজেলায় প্রায় সাড়ে সাত হাজার হেক্টর জমিতে আমন ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আলাউদ্দিন চৌধুরী নাসিম কলেজের প্রভাষক দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম রাজু বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নদীর ভাঙন দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, মহুরী নদীর পানি বাড়াতে বাঁধে ভাঙন সৃষ্টি হয়ে লোকালয় প্লাবিত হলে উপজেলা প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি রয়েছে।
ইতোমধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউএনও তানিয়া ভূইয়া জানান, গতকাল (৫ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে কহুয়া নদীর একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০২৩
এসএইচডি/আরআইএস