নেত্রকোনা: নাম তার লালু। তবে এটা কোনো মানুষের নাম না, এটি একটি শিয়ালের নাম।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের নয়নকান্দি গ্রামে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, বাড়ির আঙিনায় ছাগলগুলোর সঙ্গে খেলা করছে শিয়ালটি। বাড়ির উঠানে হাঁস-মুরগির সঙ্গেও ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। এছাড়াও সুমা আক্তার একটি পাত্রে খাবার দিলে হাঁস-মুরগি ও শিয়াল একই সঙ্গে ওই পাত্রে খাবার খাচ্ছে।
এ সময় শিয়াল পালন নিয়ে কথা হলে সুমা আক্তার বাংলানিউজের প্রতিনিধিকে বলেন, তাঁর স্বামী আজিজুল হক প্রায় দেড় বছর আগে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লোহারগাঁও গ্রামে কাজ করতে যান। সেখানে একটি জঙ্গলে কান্নার আওয়াজ শুনে এগিয়ে গিয়ে তিনটি শিয়ালের বাচ্চা দেখতে পান। পরে বাচ্চাগুলোকে উদ্ধার করে একটি বাচ্চা নিজের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। তখন শিয়ালটির আনুমানিক বয়স ছিল তিন মাস। বাড়িতে আনার পর তার নাম রাখা হয় লালু।
তিনি আরও জানান, বাড়িতে আনার পর বোতলে দুধ ভরে খাওয়ানো হয়। এক মাস পর থেকে তাকে মাছ, মাংস ও অন্যান্য খাবার দেওয়া হয়। এছাড়াও তার বাড়িতে ১২টি ছাগল ও বেশ কয়েকটি হাঁস-মুরগি রয়েছে। শিয়ালটি তাদের কোনো ক্ষতি করে না। মিলেমিশে সবাই বসবাস করছে। একসঙ্গে হাঁস-মুরগি-ছাগল বসবাস করছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর থেকেই ওই বাড়িতে লোকজন আসা-যাওয়া লেগেই আছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমরা জানি শিয়াল হচ্ছে মাংসাশী প্রাণী। যেসব প্রাণীর জলাতঙ্ক বা র্যাবিস হয় বা জীবাণু বহন করে, তাদের মধ্যে শিয়াল অন্যতম। সে ক্ষেত্রে জলাতঙ্ক টিকা শিয়াল ও তার পালনকারী দুজনেরই নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
আরএ